“করোনা হলেও বাড়িতে থাকতে পারেন, হাসপাতালে যেতে হবে না” ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন সেই কথা শোনার পর জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে! প্রশ্ন উঠছে কোভিড হাসপাতালগুলিতে কি তবে করোনা সংক্রামিত রোগীদের রাখার জায়গা টুকুও নেই! কী বললেন আজ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারো ঘরে যদি আলাদাভাবে রাখার জায়গা থাকে তাহলে করোনা হলেও তিনি ঘরেই থাকতে পারবেন। সকলের জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। সোমবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাদের বাড়িতে থাকার পর্যাপ্ত জায়গা আছে, আসলে থাকার মত জায়গা আছে তাদের বাড়িতে যদি কারো করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তারা নিজের বাড়িতেই থাকতে পারেন, আইসোলেটেড থাকবেন তারা।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মানুষ নিজের বাড়িতে থাকলে অনেক ভালো থাকে। হাসপাতালে গেলে সেখানে নানা রকমের রোগী আসে। ফলে অনেক রকম সমস্যা হয়। কিন্তু ঘরটা নিজেদের মতো সুন্দর করে পরিষ্কার করে থাকা যায়। হোম কোয়ারেন্টাইন সারা পৃথিবীতে শুরু হয়ে গেছে কেউ যদি মনে করেন বাড়িতে থেকে ট্রিটমেন্ট করাবেন কোন অসুবিধা নেই। স্বাস্থ্য দপ্তর টেলি চিকিৎসা শুরু করবে।”

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা যায় না সরকারের একটা লিমিট আছে। তবে যাদের ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা নেই তাদের জন্য অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা করবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যার ঘরে জায়গা নেই তাকে আমি কি করে বলবো বাড়িতে আলাদা থাকতে পারতো। সে ক্ষমতা নেই। তার জন্য সরকার ব্যবস্থা করবে। এমনিতেও অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে যেতে চাইছে না, মানসিক সমস্যা হচ্ছে, অনেকের দুশ্চিন্তা হচ্ছে। তাই কারো যদি মনে হয় তিনি সংক্রামিত বাড়িতেই থাকেন তবে অবশ্যই আমাদের ইনফর্ম করবেন আমরা গাইডলাইন করে দেব।”

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন এই ব্যবস্থা দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। সন্দেহ বা সংক্রমণের ভয় থাকলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা যেতেই পারে। কিন্তু করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে নিজের ঘরে আইসোলেটেড থাকাটা কতটা বিজ্ঞানসম্মত নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বিজ্ঞানীমহল। কারণ হাসপাতালে আইসোলেশন রুম ও বাড়ি আসলে কখনই এক হতে পারে না। এরপরেও যদি কারোর বাড়াবাড়ি হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে সে কিভাবে হাসপাতালের পৌঁছোবে এটিও এক বড় প্রশ্ন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ঘিরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সন্দেহ প্রকাশ করে ট্যুইটও করেছেন, তাহলে কি হাসপাতালে বেড ভর্তি হয়ে গেছে! তিনি লিখেছেন, “দিদি তারমানে হাসপাতাল কি বেড – ফুল গন্ধটা সন্দেহজনক!”