নিজস্ব প্রতিবেদন : মে মাসের গোড়া থেকেই চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়ছিলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকও হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই উত্তেজনা অবশেষে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের রূপ নিল।
গত সোমবার রাত্রে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সেনা সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে কমকরে হলেও ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আর এই সকল সেনা জওয়ানদের মধ্যে বীরভূমের রাজেশ ওরাং ছাড়াও আলিপুরদুয়ারের আরও এক বাঙালি জওয়ানও রয়েছেন। দুই দেশের জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষে আলিপুরদুয়ারের জওয়ান বিপুল রায় শহীদ হন।
বিপুল রায়ের শহীদ হওয়ার খবর গতকাল রাতেই পরিবারের কাছে এসে পোঁছায়। এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। পাড়ার ছেলের শহীদ হওয়ার খবর পেয়েই প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা পাড়া।
স্ত্রী ও ছোট ছেলে ছাড়া বিপুল রায়ের বাড়িতে রয়েছেন বাবা-মা ও ভাই। যেদিন থেকে তারা শুনেছেন ভারত-চীন সংঘর্ষ, সেদিন থেকেই তারা দুশ্চিন্তার সাথে দিন কাটাচ্ছেন। তবে প্রত্যেকেই আশা করেছিলেন বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরে আসবে সুস্থ ভাবেই। কিন্তু সুস্থভাবে ফেরা আর হলো না বিপুল রায়ের। গত বছরের ডিসেম্বরে শেষবার বাড়িতে ফিরছিলেন বিপুল বাবু। পরিবারের সাথে বেশ কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে যান কাজে। যাওয়ার সময় বলেছিলেন এইবার তাড়াতাড়ি ফিরবেন! এইবার ফিরবেন তিনি তবে কফিন বন্দী হয়ে!
বিপুল বাবুর শহীদ হওয়ার খবর পেয়েই শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসনের কর্তা ও পুলিশকর্মীরা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান। তারা চেষ্টা করছেন যত দ্রুত সম্ভব ওঁনার দেহ এলাকায় ফিরিয়ে আনতে। বিপুল বাবুর মতো জওয়ান এই দেশের গর্ব। আমরা প্রত্যেকেই ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি।