নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ দেশের অধিকাংশ রাজ্যে চালু হলেও এ যাবৎ পশ্চিমবঙ্গের তা চালু হয়নি। তবে এবার দীর্ঘ টালবাহানার পর এই ব্যবস্থা চালু হলো রাজ্যে। শুক্রবার নবান্নের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানানো হলো।
রাজ্য খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, যেসকল পরিযায়ী শ্রমিকরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যান তাদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলো। পাশাপাশি জানানো হয়েছে যাদের রেশন কার্ডের সাথে ইতিমধ্যেই আধার লিঙ্ক হয়ে গেছে তারা এখন থেকেই এই সুবিধা পাবেন।
‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ দেশের নাগরিকদের বিশেষ কতকগুলি সুবিধা দিয়ে থাকে। যে সকল সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো এই প্রকল্পের আওতায় থাকা যে কোন রাজ্যের বাসিন্দারা দেশের যে কোন রাজ্যের যেকোনো রেশন দোকান থেকে নিজেদের অধিকারের রেশন তুলতে পারবেন। ফলে রেশন তোলা নিয়ে অথবা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো ঘটনা এড়ানো যাবে।
এর পাশাপাশি আরও কতকগুলি সুবিধা রয়েছে যাদের মধ্যে অন্যতম হলো, গ্রাহকরা নিজেদের মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন চলতি মাসে তার জন্য কোন কোন খাদ্য সামগ্রী কত পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। ফলে রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে যে রেশন সামগ্রী নিয়ে তছরুপের অভিযোগ ওঠে তারও একপ্রকার নিষ্পত্তি হবে।
এছাড়াও রেশন সামগ্রী তুলে নেওয়ার সাথে সাথে মোবাইল নম্বরে জানিয়ে দেওয়া হবে রেশন সামগ্রী তুলে নেওয়া হলো। এক্ষেত্রে অন্য কোনো গ্রাহককে আপনার অধিকারের রেশন সামগ্রী সরবরাহ করার মতো কারচুপি করা যাবে না।
পাশাপাশি রেশন সামগ্রী রেশন দোকান থেকে তোলার সময় তা পুরোটাই অনলাইনে আপডেট হবে। রেশন তোলার সময় গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ অথবা মোবাইল নম্বরে পাঠানো ওটিপি দিতে হবে। এক্ষেত্রেও কেউ কোনো রকম কারচুপি করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করার জন্য দেশের শীর্ষ আদালত কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। গত ১১ জুন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের কোন রকম অজুহাত শোনা হবে না। অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কেন্দ্র সরকারের এই নীতি চালু করতে হবে।