লাল্টু : ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) দিন দিন উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেল বোর্ডের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গত ১০ বছরে রেলের এই প্রচেষ্টা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয়রা প্রতিদিনই রেলের তরফ থেকে নতুন কিছু না কিছু উপহার স্বরূপ পাচ্ছেন। ঠিক সেই রকমই এবার রেলের তরফ থেকে দুটি বড় উপহার পেল সিউড়ি ও দুবরাজপুর রেল স্টেশন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। যে সকল প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কোচ রেস্তোরাঁ, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন, প্যাসেঞ্জার ট্রেন, পণ্যবাহী ট্রেন ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট (One Station One Product) ইত্যাদি। এসবের মধ্যে সিউড়ি ও দুবরাজপুর রেল স্টেশন পেল ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট।
প্রশ্ন জাগতে পারে এই ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট আসলে কি? রেলের তরফ থেকে স্থানীয় শিল্পের প্রসার এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের প্রায়ই ১০৮৯ টি স্টেশন পেয়েছে এই প্রকল্পের ছোঁয়া। আবার ১০৮৯টির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৩৫০টি। এই তালিকাতেই এবার নাম উঠলো দুবরাজপুর এবং সিউড়ি রেলস্টেশনের।
আরও পড়ুন ? New 10 Vande Bharat Express: চালু হলো নতুন ১০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, চলবে বাংলা সহ এইসব রুটে
One station one product প্রকল্পের মধ্যে যে সকল স্টেশনকে আনা হচ্ছে সেই সকল স্টেশনে একটি করে স্টল উপহার দেওয়া হচ্ছে রেলের তরফ থেকে। যে স্টলে ব্যবসা করার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব এলাকার হস্তশিল্প থেকে শুরু করে হাতে তৈরি খাবার জিনিস বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে আওতায় রেলস্টেশনে দোকান করার যাদের স্বপ্ন রয়েছে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। এই প্রকল্পের আওতায় ব্যবসা করার জন্য এই ব্যবসায়ীকে রেলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিতে হবে এবং দোকান পাওয়ার পর সেই ভাড়া অগ্রিম হিসাবে দিতে হবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে ভার্চুয়ালি সিউড়ি ও দুবরাজপুর রেল স্টেশনে যে দুটি এই ধরনের স্টলের উদ্বোধন হলো তার মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় দুবরাজপুর স্টেশনে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা, আসানসোল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমার্শিয়াল ম্যানেজার বি.কে. চৌধুরী, সিনিয়ার DEN বিনোদ কুমার সহ অন্যান্যরা। দুবরাজপুরের এই স্টলের দায়িত্ব পেয়েছেন অঞ্জলি যাদব নামে এক মহিলা। স্টলটি ভোর ৪টে থেকে রাত্রি ৮:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকবে। এখানে হাতে তৈরি আচার, ডালিয়া, ছাতু ইত্যাদি বিক্রি করা হবে।