নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়ে চলেছে পেঁয়াজের (Onion) দাম। পেঁয়াজের এমন মূল্য বৃদ্ধিতে যখন নাভিশ্বাস অবস্থা দেশের সাধারণ মানুষদের, তখন একাধিকবার কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির তরফ থেকে পদক্ষেপ নিয়ে পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার পেঁয়াজের দাম যাতে আরও কমানো যায় তার জন্য বড় পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার (Central Government)।
অসময়ে বৃষ্টিপাতের পর পেঁয়াজের দাম তরতরিয়ে বাড়তে লক্ষ্য করা গিয়েছে। দেশের এমন কোন প্রান্ত নেই যেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেখা যায়নি। এমন অবস্থায় রীতিমতো চাপ বাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। এবার এই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির পকেট থেকে যাতে বেশি টাকা না খসে তার জন্য নড়েচড়ে বসলো কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র সরকারের নতুন পদক্ষেপে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানা যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
মূলত ভারতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় তার বড় অংশ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবহার করার পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষদের অবস্থা পেঁয়াজের দামে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দিকে নজর রেখে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি এই লম্বা সময়ে যাতে কোনভাবেই বিদেশে পেঁয়াজ চালান করা না যায় তার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হবে।
সোনার দামে কেনা সবজিতে ভেজাল নেই তো! এইভাবে বুঝে নিন কতটা খাঁটি
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পেঁয়াজ ছাড়াও চিনি এবং গমের উপরেও নজর রাখা হচ্ছে। পেঁয়াজের রপ্তানির ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা গত বৃহস্পতিবার জারি করা হয়েছে এবং সেই জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না। তবে এর পাশাপাশি তিনটি শর্তে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
সেই তিনটি শর্ত হলো, যদি জাহাজে লোড করা হয়ে গিয়েছে এবং সেই পেঁয়াজের বিল এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগে হয় তাহলে রপ্তানি করা যাবে। এছাড়াও যে সকল রপ্তানির কাগজপত্র কাস্টমসকে দেওয়া হয়ে গিয়েছে এবং রপ্তানির কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য যেগুলি এখনও সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে।