GST on Online Payment: এবার অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রেও দিতে হতে পারে জিএসটি (GST on Online Payment), নির্ধারণ করা হলো অনলাইন পেমেন্টের নির্দিষ্ট সীমা। কিছুদিন আগেই লোকসভা ভোট সুসম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করে দেশের দায়ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আবারো অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নির্মলা সীতারামাণ। ২০২৪ সালের বাজেট পেশ করা হয়েছে কিছুদিন আগেই। বাজেট পেশ করার পর থেকেই জিএসটি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রায় প্রত্যেকটা জিনিসের উপরেই জিএসটি চাপানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবার তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে অনলাইন পেমেন্টের সংস্থাগুলিও।
হাতেগোনা কয়েকটি জিনিসই বাদ পড়ে গিয়েছিল, যার উপর জিএসটি চাপানো হয়নি। বাদ পড়ে যাওয়া বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল অনলাইন পেমেন্ট প্রসিডিউর। কিন্তু এবার এই পদ্ধতিটিকেও জিএসটির আওতাভুক্ত করতে চলেছে সরকার। বিভিন্ন সংস্থাগুলির লেনদেনের উপর ১৮% জিএসটি চাপানো হতে পারে বলে শোনা গেছে। যদি এমনটাই হয় তাহলে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ২০০০ টাকার কম পেমেন্টের ক্ষেত্রেও জিএসটি দিতে হবে গ্রাহককে। অনলাইন পেমেন্টের এই সংস্থাগুলিকে ব্যাংকের ক্যাটাগরিতে রাখতে চায় না সরকার। কিন্তু তারপরেও ছোটখাটো পেমেন্টের ক্ষেত্রে আপাতত ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এই ছাড় কত দিন বজায় থাকবে তা আলোচনা সাপেক্ষ।
বর্তমানে লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্টে চাহিদা সাধারণ মানুষের কাছে অনেক বেশি। তাই সেই দিক থেকে চিন্তা করতে গেলে অনলাইন পেমেন্টের উপর জিএসটি (GST on Online Payment) চাপানোটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যদি তা করা হয় তাহলে এই সংস্থাগুলি তো সমস্যায় পড়বেই তাছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে অনলাইন পেমেন্টের চাহিদা অনেকটাই কমে যাবে। ফলে সম্পূর্ণ ব্যবসাটাই বড় ধাক্কা খেতে পারে। ২০১৬ সালে সেই নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনের ক্ষেত্রে যে কোন ছোটখাটো ট্রাঞ্জেকশন এর উপরেও জিএসটি ছাপানোর কথা ছিল কিন্তু এর বিরোধিতা করে সাধারণ মানুষ।
আরো পড়ুন: এটিএমে টাকা জমা করা এখন আরও সহজ, নয়া নিয়ম চালু করল আরবিআই
আপাতত এগ্রিগেটারদের তরফ থেকে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের জন্য ০.৫% থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ নিয়ে থাকেন। ২ হাজার টাকার কম ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত কোন জিএসটি (GST on Online Payment) ধার্য করার কথাও জানা যায়নি। তবে যদি ধার্য করা হয় তবে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত চার্জ বহন করতে হবে। যা তাদের জন্য খুবই সমস্যা জনক হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষত ক্ষুদ্র শিল্পীরা ব্যাপক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। ফোন নাম্বারের মাধ্যমে লেনদেন, কিউআরকোডের ব্যবহার, নেট ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি আরো বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অফার করা হয় অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে এই সবকিছু ব্যাহত হতে থাকবে জিএসটির অতিরিক্ত চাপের কারণে।
অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে গেটওয়ে ফ্রি যদি হয় ১ শতাংশ অর্থাৎ ১০ টাকা করে জমা দিতে হয়, তাহলে একজন ব্যবসায়ীকে এই মুহূর্তে ১১.৮০ টাকা জমা দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ক্ষতির সম্ভাবনা বয়ে নিয়ে আসবে এই জিএসটি (GST on Online Payment)। ইউপি আই পেমেন্ট পদ্ধতি সবথেকে জনপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ইউপিআই লেনদেনের পরিমাণ। অনেকের মতে যদি জিএসটি ধার্য করা শুরু হয় তাহলে তা শুধুমাত্র ডেবিড এবং ক্রেডিট, কার্ডের পেমেন্ট এর ক্ষেত্রেই করা হব অন্যান্য পদ্ধতি গুলির জন্য নয়।