নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মে মাস থেকেই আংশিক এবং কার্যত লকডাউন জারি করা হয়েছে। আর এই কার্যত লকডাউন ৩১ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়। অর্থাৎ এই কার্যত লকডাউন চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত।
তবে এই কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশকিছু নিয়মে বদল আনেন। সেইমতো আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত যে কঠোর বিধি-নিষেধ চলবে তাতে কখন কোন দোকান খোলা থাকবে তার বিস্তর পরিবর্তন করা হয়েছে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার তালিকা
নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন, গণপরিবহন অর্থাৎ বাস, ট্রাম, ট্যাক্সি অটো সহ অন্যান্য যানবাহন, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল, সুইমিংপুল, কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম, স্পা বন্ধ থাকবে। রাত্রি ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত জারি থাকছে নাইট কার্ফু। অর্থাৎ এই সময়ে জরুরী পরিষেবা ছাড়া সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিষিদ্ধ।
সম্পূর্ণ চালু থাকবে যে সকল পরিষেবা
অনলাইন ডেলিভারি, সমস্ত রকম জরুরী পরিষেবার দোকান এবং পরিষেবা প্রদান কেন্দ্র। যেমন মেডিকেল শপ, মেডিকেল সংক্রান্ত পরিষেবা। চালু থাকবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবা যেমন সাফাই কর্ম, কোর্ট-কাচারি, থানা, বিদ্যুৎ পরিষেবা, চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরী যানবাহন চলাচল ইত্যাদি।
আংশিকভাবে খোলা থাকবে
বাজার হাট : শাকসবজি, ফল, মুদিখানা, দুধ, রুটি, মাছ, মাংসের দোকান খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত।
অন্যান্য রিটেল শপ : আগের নির্দেশিকায় খুচরো যে সকল রিটেল শপ অর্থাৎ বইয়ের দোকান, কাপড়ের দোকান, গহনার দোকান, মনোহারী দোকান অথবা অন্যান্য ছোট ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল তা নতুন এই নির্দেশিকায় খোলা যাবে দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত।
ব্যাঙ্ক : ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা দুপুর ২ টো পর্যন্ত।
মিষ্টির দোকান : মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
বিবাহ অনুষ্ঠান : বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ জন অতিথি আমন্ত্রণ করা যাবে।
সৎকার : সর্বোচ্চ ২০ জনের উপস্থিতিতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সৎকারের কাজ করা যাবে।