অরেঞ্জ জোন বীরভূমে কোথায় কিসের উপর ছাড় দেওয়া হবে, রইলো তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার অর্থাৎ ৪ঠা মে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের একটি নির্দেশিকাতে বীরভূম জেলাকে অরেঞ্জ জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকাশিত নির্দেশিকা ক্রমসংখ্যা (১০৩-CS/২০২০, তাং-০৪/০৫/২০২০) কে মাথায় রেখে বীরভূম জেলাবাসীর জ্ঞাতার্থে জানানো হচ্ছে বুধবার থেকে বিশেষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী বর্তমানে কি কি খোলার ক্ষেত্রে ছাড় মিলেছে ও কি কি বন্ধ থাকবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।

আপাতত বীরভূমে যা যা বন্ধ থাকবে

১) অরেঞ্জ জোন হওয়ার দরুন বীরভূম জেলায় যেকোন রকম বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন (অটো, টোটো ইত্যাদি) বন্ধ থাকবে।

২) চুল, দাড়ি কাটার দোকান/সেলুন বন্ধ থাকবে।

১৪) জেলার মধ্যে কোনরকম ভিড় বা জমায়েত করা যাবে না। সামাজিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৭জন, সমস্ত রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে একত্রিত হতে পারে, তার বেশি নয়।

শর্তসাপেক্ষে যা যা খোলা যাবে

১) ওষুধের দোকান, সবজি মার্কেট, মুদিখানার দোকান আগের মতোই স্বাভাবিকভাবে খোলা খোলা থাকবে।

২) স্ট্যান্ড অ্যালোন অর্থাৎ একক ভিত্তিক দোকানগুলি (যেকোন এলাকায়/জনবসতি/আবাসনে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে কোন দোকানটি স্ট্যান্ড অ্যালোন অথবা একক ভিত্তিক হিসেবে বিবেচিত হবে তা নির্ণয়ের জন্য বি.ডি.ও. এবং এস.ডি.ও. অফিসারদের নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ব্লক এবং মিউনিসিপ্যালিটি এলাকাতে একটি করে কমিটি করা হয়েছে। যে সমস্ত একক ভিত্তিক দোকানের মালিকেরা দোকান খুলতে ইচ্ছুক তারা সংশ্লিষ্ট বি.ডি.ও. অফিস, এস.ডি.ও. অফিস অথবা লোকাল থানায় আবেদন করতে পারেন।

স্ট্যান্ড অ্যালোন অথবা একক ভিত্তিক দোকান হিসেবে হার্ডওয়্যার, লড্রি, মোবাইল, মোবাইল রিচার্জ, ইলেকট্রনিক্স, কাপড়ের দোকান, বই, স্টেশনারি, রঙের দোকান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, টায়ার, টিউবের দোকান, ব্যাটারি, মোটর যান সারাই করা ইত্যাদি এবং অর্ডারের সাথে যুক্ত ANNEXURE-I এ বর্ণিত দোকানগুলি বিবেচিত হবে।

৩) মিষ্টির দোকান সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে।

৪) চা এবং পানের দোকান সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে কিন্তু ক্রেতাদের দোকানের সামনে কোনরকম ভিড় করা যাবে না।

৫) কারখানা সংক্রান্ত যেকোনো কার্যকলাপের অনুমোদন পেতে আবেদন করতে হবে cs-westbengal@nic.in-এ।

৬) খনি শিল্প সংক্রান্ত কার্যকলাপ চালু করা যাবে এবং জেলার মধ্যে ও অনুমোদিত কাজের জায়গা পর্যন্ত পরিবহন করা যাবে।

৭) গ্রামীণ এলাকায় সব রকম নির্মাণ কাজ করা যাবে।

৮) শহর এলাকায় যেখানে নির্মাণ শ্রমিকেরা রয়েছে সেখানে জেলাশাসকের অনুমতিতে নির্মাণকার্য চালু করা যেতে পারে।

৯) বেসরকারি কার্যসংস্থাগুলি ২৫% কর্মীদের নিয়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা অবধি খোলা রাখতে পারে।

১০) অনুমোদিত কাজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চালক এবং দুইজন যাত্রী নিয়ে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হবে।

১১) পূর্বোক্ত অনুমোদিত কার্যকলাপ ছাড়া মার্কেট, কমপ্লেক্স এবং শপিং মলগুলিতে অন্য কোনরকম কাজ করা যাবে না।

১৫) প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাজ করা অথবা বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নির্দেশাবলীর কোন একটি অমান্য করলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন, ২০০৫ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।