নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয়ের পর শাসক দল তৃণমূলে একাধিক সাংগঠনিক রদবদল করা হবে তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই আভাস মত তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য শনিবার বসে তৃণমূলের দলীয় বৈঠক। সেই বৈঠক শেষে আভাস মতই একাধিক সাংগঠনিক পদে রদবদলে সিলমোহর দেওয়া হল।
তৃণমূলের এই সাংগঠনিক পদে রদবদল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল হলো অভিষেক ব্যানার্জীর। তাকে আনা হলো সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে। এককালে এই পদে ছিলেন মুকুল রায়। তিনি দল ত্যাগ করার পর এই পদে আসেন সুব্রত বক্সী। এবার অভিষেক ব্যানার্জিকে সেই জায়গায় আনা হলো।
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অভিষেক ব্যানার্জি ঘোষিত হওয়ার পরেই তিনি যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর এই পথে আনা হলো সায়নী ঘোষকে। অর্থাৎ সবেমাত্র তৃণমূলে যোগ দেওয়া সায়নী ঘোষ দক্ষিণ আসানসোল থেকে ভোটে হেরেও দলের প্রতি আস্থাভাজন হওয়ার কারণে পেলেন যুব তৃণমূল সভাপতির পদ।
এর পাশাপাশি মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। সর্বভারতীয় সভানেত্রী করা হলো দোলা সেনকে। রাজ্য সভাপতি করা হলেও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঙ্গজননীর দায়িত্বে এলেন তৃণমূল নেত্রী মালা রায়। কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হলেন পূর্ণেন্দু বসু। তৃণমূলের কালচারাল সভাপতি হলেন পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী।
তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে সকল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেই সকল দায়িত্ব তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে পালন করেছেন। আর তার এই গুরুত্বসহকারে পালন করার কারণেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলেন। পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই অভিষেককে দলের বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।