Belt and Road Initiative: চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড নিয়ে বিরাট আপডেট। এই প্রকল্পে আর যোগ দেবে না পানামা। যা শুনে রেগে আগুন চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। বাণিজ্য, যোগাযোগ উন্নতিতে পানামার এই আশ্বাস চীনকে আশাবাদী করলেও এদিন ঘোষণার পরে মাথায় হাত পড়েছে চীনের। বেজিংয়ের অনুমান আমেরিকার কলকাঠি নাড়ানোতেই পানামার এই সিদ্ধান্ত বদল, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তীব্র ক্ষোভে আমেরিকার দিকে আঙুল তুলেছে চীন। কি কারনে এই প্রকল্প থেকে সরে আসা? পানামার এই সিদ্ধান্তে চীনই বা কি জবাব দিল?
প্রসঙ্গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গদি দখল করার সাথে সাথেই পানামা খাল নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সাথে। এমনকি পানামা খাল নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দেন প্রয়োজনে সেই খাল সেনা নামিয়ে দখল করে নেবে বলে। তবে সাম্প্রতিক চীনের এই প্রকল্প (Belt and Road Initiative) থেকে সরে আসাতে পানামাকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে পানামার এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে চীন। বলা যায় একজনের পৌষ মাস তো আর একজনের সর্বনাশ।
চীনের এই বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে প্রথম যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল পানামা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় আমেরিকার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎই চীনের এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করল পানামা। কিন্তু কি কারণ? খবর অনুযায়ী মূলত আমেরিকার প্রভাবের কারণেই চীনের এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করলো পানামা প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: পদ্ম ফুটল দিল্লিতে, অকাল হোলি বীরভূমে, তাহলে কি এবার বাংলাতেও ফুটবে পদ্ম!
গত শুক্রবার পানামা রাষ্ট্রপতি জোসে রাউল মুলিনো এক বিবৃতিতে জানান চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড (Belt and Road Initiative) প্রকল্পে পানামা সহযোগিতা করবে না। যা শুনে বড় ধাক্কা পেয়েছে চীন। আর এই বার্তা শোনার সাথে সাথেই আমেরিকার দিকে আঙ্গুল তুলেছে চীন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায় আমেরিকা চাইছে ঠান্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে। শুধু তাই না, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পানামাকে প্রভাবিত করছে বলেও অভিযোগ করেছে চীন।
তবে পানামার এই সিদ্ধান্ত চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। মূলত পানামা এলাকায় বাণিজ্য ও যোগাযোগ উন্নতি ছিল এই প্রকল্পের (Belt and Road Initiative) মূল লক্ষ্য। এই স্বপ্নের প্রকল্পে ভালো পরিমাণ বিনিয়োগও করেছিল চীন রাষ্ট্রপতি। তবে পানামার এই সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়ছে চীনের।