CCTV in School: বর্তমানে বাচ্চার পড়াশোনা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় থাকেন অভিভাবকেরা। যার ফলে বাচ্চা বাড়িতে কেমন পড়াশোনা করছে তার পাশাপাশি স্কুলে গিয়ে বাচ্চারা কেমন পঠন-পাঠন করছে সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকার চেষ্টা করেন বাবা-মা। তারা কেমন স্কুলে পড়বেন, স্কুলটি ইংলিশ মিডিয়াম নাকি বাংলা মিডিয়াম, কোন বোর্ডের অধীনে পঠন পাঠন চলছে, এমনকি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান কতটা উন্নত সব বিষয়েই খোঁজ রাখার চেষ্টা করেন অভিভাবকগণ।
অভিভাবকদের এই ব্যস্ততার পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে বৈকি। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে পড়ুয়াদের একেবারে ছোট থেকেই ভিত শক্ত করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে প্রত্যেকটি বাচ্চার বাবা-মাই যথেষ্ট জোর দিয়ে থাকেন। শুধু পঠন পাঠনই নয় তার বাইরেও বেশ কিছু বিষয় থাকে যা সতর্কতার সাথে গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন।
আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে একটি অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বীরভূমের একটি হাই মাদ্রাসা স্কুলের পক্ষ থেকে। পড়ুয়ারা স্কুলে কেমন পড়াশোনা করছে, শিক্ষকরা স্কুলে কেমন পড়াশুনা করাচ্ছেন, মিড ডে মিলের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা কেমন ভাবে রান্না করছেন সহ সমস্ত কিছু এবার বাড়িতে বসেই দেখতে পাবেন অভিভাবকরা। এমন উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে ওই স্কুলে ১৬ টি সিসি টিভি ক্যামেরা (CCTV in School) লাগানো হয়েছে।
স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুমের পাশাপাশি রান্নাঘর থেকে শুরু করে স্কুল চত্বর সব জায়গাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV in School) বসানো হয়েছে। এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বীরভূমের নানুর ব্লকের অন্তর্গত পাপুরি হাই মাদ্রাসায়। এমন উদ্যোগের বিষয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ জানান, অনেক স্কুল এই সিসিটিভি ক্যামেরায় রয়েছে তবে প্রত্যেকটি ক্লাসরুমে এবং স্কুলের সমস্ত জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার এমনও বন্দোবস্ত অন্য কোন স্কুলে নেই।
স্বাভাবিকভাবেই এমন বন্দোবস্ত স্কুলের পরিকাঠামোর পাশাপাশি অভিভাবকদের অনেকটাই খুশি করেছে। অভিভাবকরা স্কুলে এসে একটি অ্যাপ ইন্সটল করে নিয়ে যাচ্ছেন এবং সেই অ্যাপের মাধ্যমেই বাড়িতে বসে সমস্ত কিছু নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে। আসলে যতই সতর্ক থাকা হোক না কেন মাঝেমধ্যে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে এসেই যায়। আর কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেলে পুরো দোষই এসে পড়ে কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে। তাই এই বন্দোবস্তের (CCTV in School) ফলে স্কুলে এসে পড়ুয়ারা কেমন আচরণ করছে তার একটি সম্মক ধারণা পেয়ে যাবেন অভিভাবকরা।