নিজস্ব প্রতিবেদন : আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সমান কাজে সমান বেতনের একটি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে রাজ্যের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা। হাইকোর্টের তরফ থেকে এই মামলায় জানিয়ে দেওয়া হল, স্থায়ী শিক্ষকদের মতই আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সমান কাজে সমান বেতন দিতে হবে। আর এই সংক্রান্ত মামলায় ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার।
২০১৯ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য রায় দিয়েছিলেন যে সমকাজে সমবেতন দিতে হবে। তবে এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ ৩ সেপ্টেম্বর জানিয়ে দেয়, শিক্ষকরা আংশিক সময়ের জন্য নিযুক্ত হন অথবা চুক্তিভিত্তিক ইনারা প্রত্যেকেই শিক্ষক। আংশিক সময়ের শিক্ষকরাও যে পদ্ধতিতেই নিযুক্ত হন না কেন তারা স্থায়ী শিক্ষকদের মতোই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং সমান কাজ করেন। সুতরাং এই সকল আংশিক সময়ের শিক্ষকরা তাই শিক্ষকদের মতই মূল বেতণ দাবি করতে পারেন।
বর্ধমানের খান্দ্রা হাইস্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষক অনির্বাণ ঘোষ এবং বিটরা হাইস্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষক বরুণ কুমার ঘোষ তাই শিক্ষকদের সমান মূল বেতনের দাবি করে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ ওই দুই শিক্ষককে ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বেসিক পে অর্থাৎ মূল বেতন দিতে হবে। আর এই মূল বেতন সংক্রান্ত যাবতীয় বকেয়া আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে জানিয়েছেন, ওই দুজন শিক্ষক এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ না হওয়ায় সমান বেতনের দাবি জানাতে পারেন না। অন্যদিকে অন্যান্য আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ডিভিশন বেঞ্চ বলছে ওই শিক্ষকরা যদি ৬০ বছর পর্যন্ত শিক্ষকতা করান তাহলে রাজ্য সরকারকে সমব্যথী হয়ে অন্যান্য স্থায়ী শিক্ষকদের মত যেন সুযোগ সুবিধা পান সেই দিকটিও বিবেচনা করতে হবে।
ডিভিশন বেঞ্চ এটাও জানিয়েছে যে, এখনো পর্যন্ত তারা সমবেতন পাননি সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে স্কুলের হাজিরা খাতা, স্কুলের রুটিন এবং যাবতীয় তথ্য সহ আবেদন করতে পারবেন। স্কুল শিক্ষা সচিব চুক্তিতে নিয়োগের যুক্তি দেখিয়ে তা খারিজ করতে পারবেন না।