Passengers will get a lot of facilities during Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রা করা মানুষের কাছে সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। তীর্থযাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটছে আগামী মাসে। জম্মু-কাশ্মীরে ইতিমধ্যে অমরনাথ যাত্রাকে (Amarnath) ঘিরে বিশাল আড়ম্বর শুরু হয়ে গেছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার এই তীর্থযাত্রা নিয়ে খুব কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতি বছর প্রশাসন অমরনাথ যাত্রার জন্য প্রচুর পদক্ষেপ নেয়, যাতে তীর্থযাত্রীদের কোন প্রকার অসুবিধা না হয়। চলতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার ভক্তদের কথা মাথায় রেখে বিমান পরিষেবার সংখ্যা আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য পরিষেবার সাথে সাথে বিমান পরিষেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবছর তীর্থযাত্রীরা অমরনাথ যাত্রা করার সময় রাতেও বিমান পরিষেবা পাবে।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে, এই পবিত্র অমরনাথ যাত্রার (Amarnath) দু’টি রুট রয়েছে। একটি হলো পাহেলগাম ও আরেকটি হলো বালতাল। দুটো জায়গা থেকেই পবিত্র গুহার উদ্দেশে রওনা হয় তীর্থযাত্রীরা। চলতি বছরে তীর্থযাত্রীরা যে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে সেটি হল, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জম্মু-শ্রীনগর রুটে রাতের বিমান পরিষেবা। শ্রীনগর থেকে পাহেলগাম ও বালতালের দূরত্ব কিন্তু খুব একটা বেশি নয়। যেহেতু রাতেও বিমান পরিষেবা চালু থাকবে সেহেতু আশা করা হচ্ছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর অমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি হবে।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অমরনাথ যাত্রার (Amarnath) নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা এবং সেনা ও পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসাররা। বৈঠকটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যাত্রীদের বাড়তি সুবিধার জন্য তাদের একটি কার্ড দেওয়া হবে। কোন যাত্রী হারিয়ে গেলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে এই কার্ড তাদের সাহায্য করবে। ভক্তদের ৫ লাখ টাকার বীমার সুবিধা দেওয়া হবে এবং যাত্রীদের মাল বহনকারী পশুর বীমা ঠিক হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার যে বৈঠক করেন তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, অমরনাথ যাত্রার (Amarnath) জন্য তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় তারজন্য বিমানবন্দর ও রেলস্টেশন থেকে শুরু করে বেস ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তায় বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখতে হবে, ক্যাম্পে বিদ্যুৎ ও পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখতেও বলেছেন মন্ত্রী। এছাড়া ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতবছর অমরনাথ যাত্রা সময় অতিবৃষ্টির ফলে যে হড়পা বান এসেছিল তাতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৬ জন তীর্থযাত্রী। এই পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য করা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বারে বারে গুহার চারিদিকে নজরদারি চালাচ্ছে। অমরনাথের পবিত্র গুহা অবস্থিত দক্ষিণ কাশ্মীরে হিমালয়ের উপর ৩ হাজার ৮৮০ মিটার উচ্চতায়। যার মধ্যে আছে তুষারাবৃত একটি শিবলিঙ্গ। তীর্থযাত্রীদের কাছে যা পরিচিত বাবা বারফানি হিসাবে। আগামী মাসের ১লা তারিখ থেকে শুরু হবে এই পবিত্র তীর্থযাত্রা এবং ৩১ অগাস্ট এই যাত্রা শেষ হবে।