নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছে পড়ার পর থেকেই স্বাভাবিক জনজীবন ধরাশায়ী হয়ে পড়েছে। করোনার এই পর্যায়ে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় যেমন আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি ঠিক তেমনই মৃতের সংখ্যাও কয়েকগুণ বেড়েছে। পাশাপাশি এই প্রাণহানির ধারাবাহিকতায় এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আর এই সকল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে করোনায় অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের ভরণপোষণের সমস্ত দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র। অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এবার সেই সকল পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা করা হলো যাদের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি করোনার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।
সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সকল পরিবার যাতে নিজেদের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় না হয়ে পড়েন তার জন্য তাদের দেওয়া হবে পেনশন। পাশাপাশি ওই সকল পরিবারের জন্য বিমার ব্যবস্থাও করে দেবে কেন্দ্র।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, করোনার কারণে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে রয়েছে কেন্দ্র। সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করবে এবং টাকা দেবে। যাতে করে ওই সকল পরিবারগুলির কোনমতেই যেন অসহায় হয়ে না পড়েন।
কেন্দ্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, করোনার কারণে মৃত এই সকল ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা যাতে সম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকতে পারেন তার জন্য পরিবারের সদস্যদের ESIC পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। আর এই সুবিধা পাবেন দেশের সেই সকল পরিবার যাদের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য মারা গিয়েছেন ২০২০ সালের ৩ মার্চের পর থেকে। এই সুবিধা আপাতত ২০২২ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
Family Pension under ESIC and EPFO- Employees’ Deposit Linked Insurance Scheme will provide a financial cushion to those families who have lost their earning member due to COVID-19. GOI stands in solidarity with these families. https://t.co/ppfmf5Q66y
— Narendra Modi (@narendramodi) May 29, 2021
[aaroporuntag]
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিমার মূল্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা করা হয়েছে। পেনশন দেওয়া হবে ESIC পেনশন প্রকল্পের আওতায় থাকা কর্মচারীদের বেতনের ৯০ শতাংশ। চুক্তি-ভিত্তিক, ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের সুবিধার জন্য এক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন কর্মসংস্থানকে বিবেচনা করা হবে। কর্মচারীর মৃত্যুর শেষ ১২ মাসের কাজের উপর ভিত্তি করে পরিবারের সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন।