নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে প্রথম চালু হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সূচনা হওয়ার আগে সোমবার প্রথমবারের জন্য ট্রায়াল রান করে এই ট্রেনটি। ট্রায়াল রান চলাকালীন ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রেনটিকে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় ভিড় জমাতে দেখা যায় উৎসুক মানুষদের।
যে সকল স্টেশনে বিভিন্ন কারণে এই ট্রেনটি দাঁড়াই সেই সকল স্টেশনে আবার উৎসুক মানুষেরা সেলফি তুলতে মত্ত হয়ে ওঠেন। তবে প্রিমিয়াম ট্রেন হিসেবে পথচলা শুরু করার আগেই ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে বীরভূমের বাসিন্দাদের মধ্যে। মূলত এখানকার বাসিন্দারা বোলপুর শান্তিনিকেতন অথবা রামপুরহাটে একটি স্টপেজ দাবি করছেন।
প্রথম যে বিজ্ঞপ্তি সামনে এসেছিল তাতে লক্ষ্য করা গিয়েছিল বোলপুর শান্তিনিকেতনে ট্রেনটি স্টপেজ দেবে এমন উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় সেই স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন যে বিজ্ঞপ্তি রয়েছে তাতে ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়ার পর একমাত্র মালদা টাউন স্টেশনে দাঁড়াবে এবং তারপরে পৌঁছাবে নিউ জলপাইগুড়ি।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে বোলপুর শান্তিনিকেতন অথবা রামপুরহাটে একটি স্টপেজের দাবিতে ইতিমধ্যেই ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে রেলকে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বীরভূমে একটি স্টপেজের দাবি তোলা হচ্ছে বারবার। বীরভূমের ঐতিহ্যের কথাকে মাথায় রেখে এমন দাবি তোলা হচ্ছে।
বীরভূমের উপর দিয়ে যে সকল দূরপাল্লার ট্রেন যাতায়াত করে মোটামুটি সব ট্রেনেরই বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশনে স্টপেজ রয়েছে। কবিগুরু স্মৃতি বিচরিত এই জায়গাকে আন্তর্জাতিক মানের শহরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। যে কারণে জেলার অধিকাংশ মানুষ চাইছেন অন্ততপক্ষে বোলপুর শান্তিনিকেতনে একটি স্টপেজ দেওয়া হোক নতুন এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের।