People has to climb 13 floors through the Metro Evacuation Shaft if stuck in the Metrorail tunnel under Ganges: দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার পর সম্প্রতি ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান অব্দি মেট্রো রেলপথ চালু করা হয়েছে। মেট্রো রেল পথটি গঙ্গার নিচ দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। এটি ভারতের প্রথম জলের তলায় গড়ে ওঠা মেট্রো রেলপথ। রেলের এই নতুন রুট চালু হওয়ার পর সাধারণ মানুষ খুবই উপকৃত হয়েছে। নিত্যযাত্রীদের কাছে যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে যদি গঙ্গার নিচে চলন্ত ট্রেনে থাকাকালীন কোন জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়, তাহলে কি করবেন? এই রেলপথে জরুরি ব্যবস্থার মোকাবিলার জন্য স্ট্র্যান্ডরোডে একটি বায়ুচলাচল পথ (Metro Evacuation Shaft) তৈরি করা রয়েছে। যাত্রীরা এর সাহায্যে টানেল থেকে বের হতে পারবেন।
সুরঙ্গের ভিতরে যেকোনো জরুরি অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, যথাযথ পরিকাঠামো সহযোগে এই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলপথটিকে তৈরি করা হয়েছে। স্ট্র্যান্ডরোডের ভেন্টিলেশনটির (Metro Evacuation Shaft) গভীরতা প্রায় ৪৩.৫ মিটার। অর্থাৎ আন্ডারক্রাফট সহ এর গভীরতা প্রায় ১৫ তলা বিল্ডিং এর সমান। কলকাতার মেট্রো রেলপথ গুলির জন্য তৈরি করা ভেন্টিলেশন গুলোর মধ্যে এই ভেন্টিলেশনটি সবথেকে গভীর। কোন জরুরী অবস্থায় পড়লে যাত্রীদেরকে সমান এলাকায় উঠে আসার জন্য ২৭০ টি সিড়ি ভেঙে ১২ তলার কাছাকাছি উচ্চতায় উঠতে হবে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষার কারণে এখানে কোন লিফট ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তবে যাত্রীরা উপরে ওঠার সময় শ্বাস নিতে পারবেন। ভেন্টিলেশন শাফ্টটি (Metro Evacuation Shaft) ফায়ার প্রুফ দরজা সহযোগে দুটি টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করা রয়েছে। হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড অব্দি মেট্রো রেল পথে এই একটি মাত্রই ভেন্টিলেশন শাফ্ট রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল ফায়ার প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী, মেট্রোরেল পথে প্রতি ৭৬২ মিটার অন্তর অন্তর একটি করে যাত্রী সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। তা সে কোন স্টেশনের মাধ্যমেই হোক বা ভেন্টিলেশন শাফ্ট হোক অথবা ক্রস প্যাসেজের মাধ্যমেই হোক না কেন, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রেলপথটির দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। তাই হাওড়া থেকে ৭৬০ মিটার দূরে অবস্থিত স্ট্যান্ডরোডে ভেন্টিলেশন সাফ্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন ? East West Metro: দীর্ঘ প্রতীক্ষিত হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রোয় নয়া সমস্যা! কড়া হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ
এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া অব্দি মেট্রোরেল পথে মোট ৮ খানা ক্রস প্যাসেজ এর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেকটি ক্রস প্যাসেজ ফায়ার প্রুভ দরজা দ্বারা সুরক্ষিত। কোন একটি ট্যানেলে যদি অগ্নিকাণ্ড জনিত কোন সমস্যা হয়, তাহলে খুব দ্রুত যাত্রীদের টানেলের মাধ্যমে অন্য টানলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। মহাকরণ থেকে এসপ্ল্যানেড অব্দি মোট ৫ টি, স্টান্ডরোডের কাছাকাছি ১ টি ক্রস প্যাসেজ রয়েছে। এ ছাড়াও হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া ময়দান অব্দি মোট ৩ টি ক্রস প্যাসেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্রস প্যাসেজকে ৩ মিটার চওড়া করে বানানো হয়েছে। হুগলির নিচে কোন ক্রস প্যাসেজ রাখা সম্ভব হয়নি। কারণ, তাতে সামান্য ভুল চুখে গঙ্গার জল টানেলে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
এখানকার টানেল গুলিতে যাত্রীদের জন্য হাঁটার পথ রয়েছে। যদি কোন প্রযুক্তিগত কারণে চলন্ত ট্রেন মাঝপথে থেমে যায় আর যাত্রীদেরকে ট্রেন থেকে নেমে সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হয়, তাহলে ট্র্যাক ধরে না হেঁটে পার্শ্ববর্তী ওয়াকওয়ে দিয়ে হাঁটতে পারবেন তারা ওয়াকওয়ে গুলি ২ ফুট চওড়া করা হয়েছে। যাতে যাত্রীদের কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় আলো এবং হ্যান্ড্রেইলের ব্যবস্থা রয়েছে ওয়াকওয়ে গুলিতে। মোটকথা সব রকম সুবিধা অসুবিধা কথা ভেবেই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যাত্রী সুরক্ষার সব রকম ব্যবস্থা (Metro Evacuation Shaft) গ্রহণ করেছে। নদী পথে তৈরি করা এই মেট্রো রেলপথটির জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার বিষয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সর্বদা তৎপর ও সজাগ রয়েছে।