শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : সমগ্র দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে নয়া ভীতি। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে উদ্বেগে রয়েছেন সারা দেশবাসী। সারা বিশ্বের মধ্যে ১০০ এর অধিক দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কিছু কিছু দেশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই দেশের ২১ টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন প্রজাতি যদিও বা এখনও ওমিক্রন সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য সামনে আসেনি।
ওমিক্রনের ভয়াবহতা নিয়ে আগামী বছর কেমন কাটবে সেই সম্পর্কে সম্প্রতি দিল্লির এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া দেশবাসীর উদ্যেশ্যে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন। যে বার্তায় তিনি নতুন প্রজাতি নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছেন।
১) ভিডিও বার্তার মূল বক্তব্য : গত বুধবার দিল্লির এইমসের তরফে যে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয় সেখানে গুলেরিয়া দেশবাসীকে আগাম নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাবধান করে দিয়েছেন যে অতিমারি এখনও আমাদের সাথেই রয়েছে। তবে সেই প্যান্ডেমিকের অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে রয়েছি আমরা।
২) করোনাবিধি অনুসরণ : ডাঃ গুলেরিয়া বলেন দেশের একটা বৃহৎ অংশ টিকা পেলেও সংক্রমণ কিন্তু বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সর্বদা মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বজায়, ভিড় যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলা এই কথাগুলি সর্বদা মাথায় রাখা প্রয়োজন।
৩) ওমিক্রন সম্পর্কে উদ্বেগ : দেশবাসীর মধ্যে নতুন প্রজাতি নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা কমানোর জন্য তিনি বলেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি খুব একটা শক্তিশালী নয় , অক্সিজেনের স্যাচুরেশন লেভেল এক্ষেত্রে পতন হয়না তাই অক্সিজেনের প্রয়োজন হবেনা।
৫) আতঙ্কের পরিবর্তে সতর্ক থাকার বার্তা : ২০২১ এর শুরুর দিকে যেভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট হয়েছিল সেই ঘটনার যেনো আবার পুনরায় না ঘটে সেই সম্পর্কে গুলেরিয়া বার্তা দিয়েছেন। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আমরা যেন তার সামাল দিয়ে উঠতে পারি সেই দিকে সচেতন থাকার পাশাপাশি আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
৬) ওমিক্রন পরিসংখ্যান : বর্তমানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২৫। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ৩৫১। মহারাষ্ট্রে ৪৬০ জন, গুজরাটে ১৩৬, কেরলে ১০৯, তেলেঙ্গানা ৬৭, রাজস্থান ৬৯, কর্ণাটক ৬৪, হরিয়ানা ৬৩, পশ্চিমবঙ্গ ২০।