নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রে তৃতীয় মোদি সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট শেষ হয়েছে ২৩ জুলাই। এবারের এই বাজেটে যে সকল ঘোষণা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি ঘোষণা হলো সোনা, রুপো ও প্লাটিনাম ধাতু নিয়ে। মূলত এই সকল ধাতুর উপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার ফলে দাম অনেকটাই কমতে শুরু করেছে, বিশেষ করে সোনার দাম (Gold Price Dropped)। আর দাম কমার ফলে লক্ষ লক্ষ কোটির সম্পদ হারালেন ভারতীয়রা।
বাজেটে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণার পর একদিকে যেমন সোনার মতো বহু মূল্যবান ও বহুল ব্যবহৃত ধাতুর দাম কমার ফলে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে, ঠিক সেই রকমই আবার দেশেরই লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখ দিয়ে জল গড়িয়েছে। সোনার দাম কমার ফলে এখন বিয়ে সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য সোনা কেনার ক্ষেত্রে খরচ কম হবে। আবার ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন তাদের ক্রেতা বৃদ্ধি নিয়ে।
তবে দেশেরই অনেক মানুষ রয়েছেন যারা নিজেদের বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় সোনা কিনে মজুত করে থাকেন। এই সকল মানুষেরা যারা দিন কয়েক আগেও চড়া দামে সোনা কিনেছিলেন তাদের মাথায় হাত পড়েছে। কেননা বাজেট ঘোষণার আগে পর্যন্ত সোনার দাম যা ছিল তা ১০ গ্রামের অন্ততপক্ষে এখন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা কমে গিয়েছে। আর এর ফলেই লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার লোকসানের মুখোমুখি দেশের এই সকল মানুষেরা।
আগে সোনা সহ রুপো ও প্লাটিনাম ধাতুর উপর আমদানি শুল্ক নেওয়া হতো ১৫ শতাংশ। যার মধ্যে ১০ শতাংশ মৌলিক শুল্ক এবং ৫ শতাংশ ছিল কৃষি অবকাঠামো সেস। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে ১০% মৌলিক শুল্কের জায়গায় তা কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ, অন্যদিকে কৃষি অবকাঠামো সেস ১% কমিয়ে করা হয়েছে ৪ শতাংশ। এর ফলেই এখন সোনার দামে বিশাল পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভারতীয় নাগরিকদের কাছে সোনা অলংকারের পাশাপাশি বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণের বিষয়বস্তু। বিশ্বে যে পরিমাণ সোনা নাগরিকদের হাতে মজুত রয়েছে তার মধ্যে ১১ শতাংশ সোনায় মজুত রয়েছে ভারতীয়দের হাতে। এর ফলে এমন দামের পতনে ভারতীয়রা কেবল একদিনেই ১০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ হারিয়েছেন। এমন বিপুল সম্পদ হারানো ভারতীয় বাজারে ষষ্ঠতম বৃহৎ সম্পদ হারানোর নজির তৈরি করেছে। তবে আবার একদিকে যেমন এমন নজির তৈরি হয়েছে, ঠিক সেই রকমই আবার বাজারে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সোনা ও সোনার অলংকারের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।