লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায়, উচিত শিক্ষা দিতে পথে নামলো পুলিশ

লাল্টু : বারংবার সচেতন করেও কাজ হচ্ছে না। লকডাউনকে উপেক্ষা করে নানান অজুহাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বেশ কিছু মানুষের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরী কোনরকম প্রয়োজন ছাড়াই এই সকল মানুষগুলি মোটরবাইক, সাইকেল ইত্যাদি নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর যা সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে পুলিশেরও। তাই উচিত শিক্ষা দিতে এবার পথে নামলেন তারা।

শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর দুবরাজপুর, বোলপুর সহ বীরভূম জেলার অন্যান্য শহরেও রাস্তায় নেমে পুলিশ বেশ কিছু মানুষের পথ আটকায়। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় লকডাউন চলাকালীন রাস্তায় বের হওয়ার কারণ। শুধু কারণ জানালেই হবে না, তার সাথে দেখাতে হবে উপযুক্ত প্রমাণ। আর তা না হলে তার মোটরবাইক হোক অথবা সাইকেল আটক করে রাখা হচ্ছে থানায় থানায়। এমনকি এই সময় ট্রাফিক আইন না মানলেও আটক করা হচ্ছে গাড়িগুলিকে। জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে এদিন বেশ কতকগুলি মোটরবাইক, টোটো আটক করা হয় দুবরাজপুর ও অন্যান্য থানায়।

প্রসঙ্গত, লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথম দুদিন বেশ শুনশান ছিল বীরভূম জেলা। কিন্তু তারপরেই ধীরে ধীরে মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে শুরু করে। আর সেই বের হওয়ার পিছনে অনেকেই যে কারণ দেখিয়েছেন তাকে অজুহাত বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি শুক্রবার সিউড়ির বাসস্ট্যান্ডে বেশকিছু টোটো ও অটোকেও দেখা যায়। তারা বিনা বাধায় অবাধ বিচরণ করছেন।

এমনকি স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ, যে মানুষটিকে আগে হাটে বাজারে একদিন করে দেখা যেত, তাকে এখন প্রতিদিনই হাতে থলি হাতে বাজারে দেখা যাচ্ছে। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? বাড়ি থেকে বের হওয়ার অজুহাত ছাড়া আবার কি? লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেয়। রাস্তায় রাস্তায় চলে টহলদারি, পাড়ায় পাড়ায় চলে রুটমার্চ। কিন্তু সেই রাশ আলগা হতেই রাস্তায় বের হওয়া বাসিন্দার সংখ্যা বাড়ছে।

তবে শুক্রবার থেকে আবার পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ল। এদিন পুলিশ অফিসাররা দুবরাজপুরের বিভিন্ন রাস্তায়, বোলপুরে বাড়তি নজরদারি চালায়। সিউড়িতেও দুদিন আগে রাতের বেলায় পাড়ায় পাড়ায় আড্ডা মারা বন্ধ করতে মোটর বাইকে করে নামতে দেখা গিয়েছে স্বয়ং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। আর পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত হল, পুলিশ কড়া পদক্ষেপ না নিলে কোন মতেই লকডাউনকে সফল করা সম্ভব হবে না। আর লকডাউন সফল না হলে যে কারণে এই লকডাউন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া তা কতটা সুদূরপ্রসারী হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।