পলিউশন করানোর ঝামেলাকে বলুন টা-টা, রাজ্যে আসছে নতুন সফটওয়্যার

Published on:

Advertisements

পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে গ্রীন ট্রাইবুনাল আদালত ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়িগুলিকে বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। পরিবেশ আদালতের এই রায়কে হাতিয়ার করে রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী। একই সঙ্গে গাড়ি সংক্রান্ত অর্থনীতি সচল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। ১৫ বছরের বেশি পুরনো যে সমস্ত গাড়িগুলি রয়েছে, সেই সমস্ত গাড়ি মালিকদের জন্য বড় সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। কি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন পরিবহন মন্ত্রী, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

Advertisements

রাজ্যে পরিবর্তন হতে চলেছে স্ক্র্যাপ পলিসি। নতুন স্ক্র্যাপ পলিসি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। গ্রিন ট্রাইবুনাল আদালতের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী রাজ্যের স্ক্র্যাপ পলিসি চেঞ্জ হতে চলেছে। বর্ধমানে একটি বৈঠকে হাজির হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। যেখানে হাজির হয়েছিলেন পরিবহন দপ্তরের মুখ্য সচিব সৌমিত্র মোহন। পাশাপাশি বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা শিংলা। সেখান থেকেই পুরনো গাড়ির মালিকদের জন্য বড় সুবিধার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। বলেছেন, ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করলেই নতুন পারমিট দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবহন দপ্তরের যে দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও সরব হয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisements

এদিন মন্ত্রী জানান, স্ক্রাপ হওয়া গাড়ির জায়গায় নতুন পারমিট দেওয়া হবে। যাতে কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি গাড়ি সংক্রান্ত ব্যাপারে অর্থনীতি অনেকটা সচল হয়। তিনি আরও জানান, বাম আমলে RTO, ARTO অফিস গুলিতে দালাল চক্রের বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। বর্তমান সরকার এই দালাল চক্র ভাঙতে একশো শতাংশ অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে ১৫৩ টি অনলাইন সিস্টেম চালু হয়েছে যা গোটা দেশে কোথাও নেই। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে দাবি পরিবহণ মন্ত্রীর। এদিন তিনি বলেন, “পলিউশন চেক করার জন্যও নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। যাতে সব জায়গাতেই পলিউশন অ্যাকিউরেসি একই থাকবে।”

Advertisements

উল্লেখ্য, নতুন স্ক্র্যাপ পলিসি চালু হলে সরকার নির্ধারিত জায়গা থেকেই গাড়ি স্ক্র্যাপ করতে হবে। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এই কাজ পরিচালিত হবে। তার জন্য লোকালয় থেকে অনেক দূরে এবং স্বাস্থ্যহানী হবে না এমন নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই গাড়ির মালিককে স্ক্র্যাপ করাতে হবে। তবেই পরিবহণ দফতর থেকে মিলবে বিশেষ সার্টিফিকেট। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ফিটনেস সার্টিফিকেট সহ সমস্ত কাগজপত্র আপ টু ডেট করতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এছাড়াও বে-আইনি গাড়ির মুভমেন্ট রুখতে এনফোর্সমেন্ট টিমকে আরও শক্তিশালী করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, এই খাতে গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় এই আর্থিক বর্ষে সাতশো কোটি টাকা বেশি আয় করেছে রাজ্য সরকার।

Advertisements