সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ফুগলাকে চেনে না এমন কেউ নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে ফুগলার ভক্ত সংখ্যাও বেশ ভালোই। এই ছোট্ট ছেলেটির প্রতি দিন দিন জনগণের ভালোবাসা বেড়েই চলেছে। তারই জনপ্রিয়তার কারণে সে হইচই-এর হয়েও কাজ করেছে। সেই কারণেই সে অনির্বাণ ও মিমি চক্রবর্তী সঙ্গে ভিডিও বানিয়ে ফেলেছে। আর অল্প বয়সেই সেই পৌঁছে গেছে জনপ্রিয়তার শিখরে।
ফুগলাকে যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বেশ পছন্দ করেন, তবে সমালোচনা করতেও ছাড়েন না কিছু কিছু মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুগলার বাবা-মা এবং যিনি তাকে পড়ান সেই আন্টিকে নানাভাবে সমালোচনা মুখে পড়তে হয়। সমালোচকদের বক্তব্য হলো, তারা নাকি ছোট্ট ছেলেটিকে দিয়ে টাকার জন্য ব্যবসা করাচ্ছে। তাকে পড়াশোনা না করিয়ে, তাকে দিয়ে নানা রকম ভিডিও বানাচ্ছে। আর যেটা একদমই উচিত নয়। কিছু মানুষ এও বলেন, এই ছোট বয়সে বাচ্চার ভিডিও না বানিয়ে তাকে যথাযথ শিক্ষা দিয়ে বড়ো করা উচিত।
সম্প্রতি ফুগলার নার্সারির রেজাল্ট বেরিয়েছে। নার্সারিতে সে ৯৬.৬২ শতাংশ নিয়ে পাস করেছে। এটি একটি অত্যন্ত খুশির খবর। আর এই খুশির খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ফুগলার গৃহশিক্ষিকা আন্টি এই খবরটি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। যারা ফুগলাকে ভালোবাসেন শুধুমাত্র তাদের জন্যই নয়, যারা সমালোচনা করেন তাদের জবাব দেবার জন্য এই পোস্টটি করা হয়েছে বলে জানান তার আন্টি।
ফুগলার আন্টি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, এবার অনেকেই বলতে পারেন ছোটবেলায় সকালেই এমন নম্বর পায়। কিন্তু ফুগলার যেহেতু এটা জীবনের প্রথম ফাইনাল পরীক্ষার মার্কশিট সেহেতু এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফুগলার একটাই ছোটবেলা, আর এটাই ওর প্রথম জীবনের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। তাই এর আনন্দটাও যথেষ্ট বেশি। তাই এই আনন্দটা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, ফুগলার আন্টি ভিডিও বানানোর পাশাপাশি তাকে পড়াশোনাটা ভালো ভাবেই সেখান।
ফুগলার আন্টি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ফুগলার জীবনের প্রথম ফাইনাল মার্কশিট। ৯৬.৬২% (নার্সারি) পেয়েছে। হ্যাঁ, জানি অনেকেই বলবেন ছোটো বেলায় সবাই এরকম পায়, কিন্তু ফুগলার তো এটা একটাই ছোটবেলা তাই না, আর এই প্রথম ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে এত্ত মার্কস পেয়ে নতুন ক্লাসে ওঠার আনন্দ টাও একদম নতুন। আর সেটা ওর শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে ভাগ করব না তা তো হয়না। যাইহোক ফুগলার আন্টি শুধু ভিডিও করেন না, সাথে একটু আধটু পড়াশোনাটাও শেখান, কী বলেন?’