Child Marriage: বাল্যবিবাহে প্রথম, মানসম্মান উদ্ধারে হাতিয়ার নাটক

Laltu Mukherjee

Published on:

Advertisements

Child Marriage: এলাকায় অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে, অল্প বয়সীদের প্রেগনেন্সি এছাড়াও অনেকে টিকা-পোলিও নিতে চাইছে না। আর সে কারণেই দুবরাজপুর ব্লকের সদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রামে সাহাপুর আত্মসম্মান মহিলা সেলফ হেল্প গ্রুপ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের উদ্যোগে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয় আত্মসম্মান ময়দানে। প্রচুর মহিলাদের উপস্থিতি ছিল এখানে। এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে মঞ্চস্থ হলো নাটক বীরাঙ্গনা।

Advertisements

আত্মসম্মান মহিলা সেলফ হেল্প গ্রুপ কো-অপারেটিভ সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর মর্জিনা বিবি জানান, জেলাতে একদিন মিটিং এ গিয়ে শুনলাম যে বাল্যবিবাহে (Child Marriage) আমরা প্রথম হয়েছি, এরপরই মনের মধ্যে জেদ বসে যায়। এই এলাকায় বাল্যবিবাহ, অল্প বয়সীদের প্রেগন্যান্সি ও টিকা-পোলিও নিতে অনীহা থাকায় এই সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। জেলা পরিষদের সহযোগিতায় এই সচেতনতা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত করতে পেরেছি। দরকার হলে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করব। হাল ছেড়ে দেবো না।

Advertisements

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ হিমাদ্রি আঁড়ি, দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদক, দুবরাজপুরের BMOH ডাঃ সালমান মণ্ডল, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অরুণ কুমার চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সদস্যা মুনমুন ঘোষ, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব হেমব্রম, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রফিউল হোসেন খান সহ আরও অনেক।

Advertisements

আরও পড়ুন:SuriSuri: সিউড়িতে ঘটল অদ্ভুত ঘটনা, স্ত্রীকে উপহার দিল চুরি করা লাভ গ্লোসাইন

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ হিমাদ্রি আঁড়ি মঞ্চে বলেন, আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখানে কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের জিরো ডোজ ভ্যাকসিনেশন সেটা অনেক বেশি আছে। তার কারণ এই মুহূর্তে এখানে লাস্ট এক বছরে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ এই পরিমাণ বাচ্চা তারা ভ্যাকসিন নেয়নি। কোন ভ্যাকসিন নেয়নি যেটা খুব লজ্জার। আমাদের জেলাতে এখন বাল্যবিবাহ (Child Marriage) বা অল্প বয়সীদের প্রেগন্যান্সি তার পরিমাণ হচ্ছে ২০%। যেটা খুব লজ্জার। আমাদের জেলা সবকিছুতেই এগিয়ে কিন্তু এই জায়গায় আমরা কিন্তু পিছিয়ে আছি। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব, আজকের এই নাটক থেকে আমরা যেন একটা শিক্ষা নি।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ জানান, এখানে একটা গ্রামে প্রশাসনিক আধিকারিকরা এসেছিলেন আমিও এসেছিলাম সেখানে একটা গ্রামে ২০% বাচ্চা পোলিও নিয়েছে বাকিরা নেয়নি। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যাব দরজায় দরজায় যাব যেন মানুষ এই টিকাকরণ থেকে দূরে না থাকে। কারোও যেন অকাল মৃত্যু না হয়, অল্প বয়সে বিবাহ (Child Marriage) বন্ধনে আবদ্ধ না হয় এবং কম বয়সীদের প্রেগন্যান্সি না হয় আমরা দরজায় দরজায় যাব বাড়িতে বাড়িতে যাব এবং এই নাটকটি মঞ্চস্থ করব।

Advertisements