বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ চলতি বছর রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কলেজে ভর্তির (College Admission) ক্ষেত্রে চালু করেছে অভিন্ন অনলাইন পোর্টাল। যে অভিন্ন অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়ারা যেকোনো কলেজের আসন সংখ্যা দেখে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। কিন্তু আবেদন প্রক্রিয়া শেষে যা দেখা গেল তাতে খাঁ খাঁ করছে ওই অনলাইন পোর্টাল। কেননা যে সংখ্যক আসন ভর্তির জন্য দেওয়া হয়েছিল তার অর্ধেকই পূরণ হয়নি।
চলতি বছর স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য অভিন্ন অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সাড়ে ৯ লক্ষ আসন রাখা হলেও ভর্তি হয়েছে মাত্র সাড়ে ৪ লক্ষ পড়ুয়া। বাকি পুরোটাই ফাঁকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ ডিগ্রী নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে রাজ্যের অবস্থা কোন জায়গায় এসে পৌঁছেছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আর পড়ুয়ারা সাধারণ ডিগ্রী নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইছে না।
ভর্তি নিয়ে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর পুনরায় পোর্টাল চালু করার নির্দেশ দেয় ৭ সেপ্টেম্বরের পর। তবে সাধারণ ডিগ্রী নিয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে আলাদা করে একাধিক পোর্টাল খোলা হলে সেই পোর্টালের খরচ উঠবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কলেজ আলাদা করে পোর্টাল না খুলে গুগল ফর্ম ব্যবহার করে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া চালাবে বলে জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন : Bangladesh: ভারতীয়রা মুখ ফেরাতেই বাংলাদেশে অতীত ৪ লেনের মহাসড়ক, অনিশ্চয়তা নতুন রেলপথ প্রকল্পেও
চলতি বছর ভর্তির যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে সেই পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, বেহালার রবিন মুখার্জি কলেজে ৯১৮ টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছে মাত্র ১৯৬ আসনে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয় ১২০০ সিটের মধ্যে ভর্তি হয়েছে কেবল অর্ধেক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি কলেজ থেকে শুরু করে আশুতোষ কলেজ সব জায়গাতেই একই অবস্থা।
এমন পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে অধিকাংশ কলেজ আলাদা করে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে পোর্টাল খোলার দিকে হাঁটতে চাইছে না। বরং তারা গুগল ফর্ম ব্যবহার করে আবেদন গ্রহণ করার বন্দোবস্ত করছে এবং পুনরায় আবেদন নেওয়া হচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে যে আবেদন পাওয়া যাবে সেই সকল আবেদনের মেধাভিত্তিক তালিকা কলেজের যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।