‘এক দেশ এক হেল্থ কার্ড’, স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে বড় ঘোষণা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির এদিনের সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হল ‘এক দেশ এক হেল্থ কার্ড’। এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা দেশবাসীদের সামনে তুলে ধরেন। আর সেই সকল পরিকল্পনার মধ্যে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ডের’ মত রয়েছে ‘এক দেশ এক হেল্থ কার্ড’। পাশাপাশি তিনি এদিন ঘোষণা করেন ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল হেল্থ মিশনের’।

Advertisements

Advertisements

এই পরিকল্পনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “দেশের সকলের মেডিকেল তথ্য রাখার জন্য সমস্ত হাসপাতাল ক্লিনিক এবং চিকিৎসকদের একটি নির্দিষ্ট সার্ভারের মধ্যে যুক্ত করা হবে। যার ফলে এক জায়গাতেই সমস্ত তথ্য থাকবে। তবে কোন ব্যক্তি যদি এর সাথে যুক্ত হতে না চান, তাহলে নাও হতে পারেন। সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই সার্ভারের সাথে যুক্ত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। সেই ইউনিক আইডির মাধ্যমে ইচ্ছুক ব্যাক্তিরা যোগ দিতে পারবেন এই মিশনের সাথে।”

Advertisements

‘এক দেশ এক হেল্থ কার্ড’-এর সুবিধা

‘এক দেশ এক হেল্থ কার্ড’-এর সুবিধা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন তার ভাষণে জানান, “এই মিশনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভারতীয় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য এক জায়গায় সুরক্ষিত রাখা হবে। এই প্রকল্পে বা মিশনে যুক্ত হওয়া ব্যক্তিরা একটি করে হেলথ আইডি কার্ড পাবেন। আর সেই হেলথ কার্ডগুলিতে থাকবে আলাদা আলাদা নম্বর। এখন কোন ব্যক্তি কোন ডাক্তার দেখিয়েছেন, তার স্বাস্থ্যের কি সমস্যা রয়েছে, পরবর্তী ক্ষেত্রে কি কি টেস্ট করাতে হবে সমস্ত তথ্য ওই কার্ডের মধ্যে নথিভূক্ত থাকবে।”

এই প্রকল্প শুরু হলে সব থেকে বড় সুবিধা এটাই যে ভারতের যেকোনো স্থানে কোন ব্যক্তি চিকিৎসা করাতে গেলে তাকে আর তার পুরাতন রেকর্ড অর্থাৎ রোগের সম্পর্কে খুঁটিনাটি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে চিকিৎসককে জানাতে হবে না। অথবা সেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত কাগজপত্র বয়ে নিয়ে যেতে হবে না। হেলথ কার্ড দেখেই বর্তমান চিকিৎসকেরা অতীতের সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার খুঁটিনাটি জানতে পারবেন।

Advertisements