নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ভারতেও সংক্রমনের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭। অন্যদিকে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। আমার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাত্রি ৮ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। যে ভাষণে তিনি রবিবার জনতা কারফিউয়ের কথা জানান।
তিনি জানান, “কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দেশ ও দেশের জনতাদের পার করতে হচ্ছে। সংকট এখনও কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে আমি দেশের জনতার কাছে দুটি জিনিষ চাইতে এসেছি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলি যখন করোনার থাবায় নাজেহাল হয়েছে তখন আমাদের দেশে এর প্রভাব পড়বে না এমনটা ভাবা ভুল। মহামারীকে রোধ করতে হলে নিজেদের সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। নিজেদের কর্তব্য পালন করতে হবে। অপরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। দূর থেকে দূরে থাকতে হবে। দেশবাসীর কাছে আমি মাত্র কয়েকটা সপ্তাহ চাইছি।”
এরপরেই তিনি বলেন রবিবার দেশজুড়ে জনতা কারফিউ মেনে চলার। তিনি বলেন, “রবিবার অর্থাৎ ২২ শে মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত কেউ যেন বাড়ির বাইরে বের হবেন না। এটাই আমার ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ, এটাই আমাদের সংকল্প। আর যারা আমাদের সেবায় নিয়োজিত তাদের জন্য বিকাল ৫টায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে অথবা থালা বাজিয়ে অভিবাদন জানাবো।”
PM Modi: On 22nd March, from 7 am to 9pm, all countrymen have to follow 'Janta Curfew' #CoronaVirus pic.twitter.com/dXRmvlDHM3
— ANI (@ANI) March 19, 2020
কিন্তু এই ‘জনতা কারফিউ’ কেন? সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ”২২ শে মার্চ জনতা কারফিউয়ের সাফল্য ও অভিজ্ঞতা আমাদের আগামীদিনে আসা চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলার পাথেয় করবে। আর এজন্য প্রতিটি রাজ্যের সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ করছি। NCC, NSS কয়েকটি যুব সংগঠন, খেলাধুলার সংগঠনগুলি এগিয়ে আসুন। সকলের কাছে রবিবার জনতা কারফিউ সফল করার আবেদন করছি।”