নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃতীয় বার কেন্দ্রে সরকারে ফেরার পর ২৩ জুলাই মঙ্গলবার ফের একবার বাজেট (Union Budget 2024) পেশ করল কেন্দ্র সরকার। এবারের বাজেটে লোকসভা ভোটের আগে দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একের পর এক ঘোষণা করেন। সেই সকল ঘোষণার মধ্যেই উঠে আসে কেন্দ্র সরকারের মুদ্রা যোজনা প্রকল্প (Central Govt Mudra Yojana)।
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে সংকল্প পত্র প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যদি এনডিএ তৃতীয়বারের জন্য সরকারে আসে তাহলে মুদ্রা লোন প্রকল্পের আওতায় পাওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বাজেট পেশ করার সময় সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের ঘোষণা হয়ে গেল।
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Pradhan Mantri Mudra Yojana) চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় আবার তিনটি ভাগ রয়েছে। যে তিনটি ভাগ হলো শিশু, কিশোর এবং তরুণ। প্রকল্পের শিশু ভাগের অংশ হিসেবে ৫০০০০ টাকা, কিশোর ভাগের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা এবং তরুণ ভাগের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যাদের ব্যবসা করার ইচ্ছে রয়েছে অথচ হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই তারা এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করে কম সুদে ঋণ পেতে পারেন। কেন্দ্র সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেটে এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ এক ধাক্কায় ডবল করে ২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হল।
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা প্রকল্পের আওতায় ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬৫ বছর। এক্ষেত্রে আবেদনকারী যদি আগে কোন ঋণ নিয়ে থাকেন এবং সেই ঋণ শোধ না করেন তাহলে তিনি কিন্তু এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ পাবেন না। যদি কেউ এই প্রকল্পের তিন ভাগের মধ্যে শিশুভাগ বাদ দিয়ে বাকি দুই ভাগের আওতায় ঋণ নিতে চান তাহলে তাকে ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়ের প্রমাণপত্র এবং ব্যবসার প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় যারা ঋণ নিতে চান তাদের https://udyamimitra.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। আবেদন করার সময় আবেদনকারী ব্যক্তির ঠিকানার পরিচয় পত্র সহ অন্যান্য বিভিন্ন নথি জমা দিতে হবে। ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রসেসিং ফি নেওয়া না হলেও তার থেকে বেশি লোন নেওয়া হলে ০.৫০ শতাংশ হারে প্রসেসিং ফি কাটা হবে।