শতবর্ষে দেশের গর্ব বিশ্বভারতী, ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের সামনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশের গর্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শতবর্ষে পা দিচ্ছে। আর এই শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তিনি বুধবার রাতেই টুইট করে দেশবাসীদের জানান। আর এই উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরছেন ভার্চুয়ালি।

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর শতবর্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবিগুরুর একটি উক্তিকে তুলে ধরে টুইট করেছেন এদিন সকালেই।

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন ঘিরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ডঃ রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কও সকালেই টুইট করে অভিবাদন জানিয়েছেন।

আজ অর্থাৎ ৮ই পৌষ বিশ্বভারতীর জন্য খুব আনন্দের দিন হলেও চলতি বছর এই আনন্দে ভাটা টেনেছে করোনা। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের বর্ষেই করোনা প্রকোপে বন্ধ রাখতে হয়েছে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী মেলা পৌষমেলা।

তবে মেলা বন্ধ থাকলেও রীতি মেনে পালিত হচ্ছে পৌষ উৎসব। পাশাপাশি চলতি বছর বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্যান্য বিশিষ্টজনের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেষবার ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর (৮ই পৌষ) বোলপুরে স্থাপন করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রাচীন ভারতের আশ্রম শিক্ষার ভাবনায় এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছিলেন কবিগুরু। প্রকৃতির ছাদের তলায় অর্থাৎ গাছের তলায় শিক্ষালাভ বিশ্বভারতীর আলাদা ঐতিহ্য। আর এই ঐতিহ্য এখনো বজায় রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যেন আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন।