নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের দুটি করোনার ভ্যাকসিন জরুরী ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়ার পর সেই সকল ভ্যাকসিন বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে টিকা দেওয়া হবে ৫০ বছরের বেশি নাগরিকদের এবং ৫০ বছরের কম কো-মর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের। আর এই দ্বিতীয় ধাপেই টিকা পাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স যেহেতু পঞ্চাশের উর্ধ্বে তাই তারা এই টিকা পাবেন।
ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, টিকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয় ধাপে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। দেশের যে সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক রয়েছেন যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তাদের টিকা দেওয়া হবে।
দেশজুড়ে বর্তমানে প্রথম ধাপের টিকাকরণ চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। আর এই স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের কর্মসূচি সমাপ্ত হওয়ার পরেই দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা হবে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি কবে থেকে শুরু হবে তার সম্পর্কে এখন নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “টিকা নিয়ে ভ্রান্তির কোন স্থান নেই। টিকার দুটি ডোজ রয়েছে। এক মাসের মধ্যেই দুটি ডোজ নিয়ে নিতে হবে। প্রথম ডোজ দুই সপ্তাহের মধ্যেই কাজ করা শুরু করবে। করোনাকালে যেমন আপনারা ধৈর্য দেখিয়েছিলেন, ঠিক একইভাবে ধৈর্য ধরতে হবে টিকাকরণের কালেও। টিকাকরণের পরেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং দু গজের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঢিলেমি করলে কঠিন পরিণতি হতে পারে।”