নিজস্ব প্রতিবেদন : দেওঘরে উদ্বোধন হলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। মঙ্গলবার এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিমানবন্দর উদ্বোধন হওয়ার ফলে দেওঘর থেকে আকাশপথে কলকাতার দূরত্ব হলো মাত্র ৭৫ মিনিট। ২০১৮ সালে এই বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাত্র চার বছরের মধ্যে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়ে গেল।
৪০১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দেওঘরে এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হয়ে যাওয়ার পর ঝাড়খণ্ডে রাঁচির পর দ্বিতীয় কোন বিমানবন্দর চালু হলো। এই বিমানবন্দর থেকে এখন কলকাতা পর্যন্ত বিমান চলাচল করবে বলে জানা যাচ্ছে এবং আগামী দিনে খুব তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করবে।
নতুন এই বিমানবন্দর উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বলেন, তিনি বহুদিন আগেই দেওঘরে বিমানবন্দর তৈরি করার বিষয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে আমরা ঝাড়খণ্ডকে আরও গতিবান করে তুলতে পারব। এই প্রকল্পগুলি যে কেবল এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি কিংবা ব্যবসার সুযোগ বাড়াবে তাই নয়, আমরা ট্যুরিজমের সুযোগও তৈরি করতে পারব। পাশাপাশি শিল্পোদ্যোগের সুযোগও বাড়বে। এমনকী প্রতিবেশী রাজ্যগুলির উন্নয়নের সুযোগও বাড়বে।”
দেওঘরে এই বিমানবন্দর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্যগুলির বিকাশের সঙ্গেই জড়িত রাষ্ট্রের বিকাশ। গত ৮ বছর ধরে এই চিন্তাভাবনাকে সঙ্গী করেই আমরা কাজ করছি। গত ৮ বছরে রাজপথ, রেলপথ, বায়ুপথ, জলপথ সর্বপথেই ঝাড়খণ্ডকে যুক্ত করার পিছনে এই ভাবনাই ছিল।”
দেওঘরের এই বিমানবন্দর উদ্বোধন হওয়ার আগে ঝাড়খন্ডে কেবলমাত্র রাঁচি বিমানবন্দর ছিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তবে এবার এই তালিকায় নাম উঠলো দেওঘর বিমানবন্দরের। ৬৫৪ একর জায়গায় এই বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে এবং এই বিমানবন্দরে এয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭, দুই ধরনের বিমানই ওঠানামা করতে পারবে। এই বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য হল ২৫০০ মিটার।