কোথায় কিভাবে চলবে লকডাউন ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার বেলা ১১ টা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক শুরু করেন দেশের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, হটস্পট চিহ্নিত এলাকাগুলিতে লকডাউন বাড়ানোর কথা। দেশজুড়ে অন্তত পাঁচটি রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা শোনা যায়। এখন জেনে নিন এই ৫ টি রাজ্য কোনটি কোনটি?

মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, ওড়িশার মত রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ এমনিতেই অধিক। এই রাজ্যগুলি ভয় পাচ্ছে যে লকডাউন উঠে গেলে হটস্পট চিহ্নিত এলাকাগুলিতে সংক্রমণের মাত্রা আরও অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে এমনকি এতটাই সংক্রমণ বেড়ে যাবে যে তারা আর এত সংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে পারবেনা। তাই এই রাজ্যগুলি লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লকডাউন বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন কিনা এই বিষয়টি তখন জানা না গেলেও বিকালে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়। কারন তিনি জানান, রাজ্য সরকার ২১ শে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে উপরিউক্ত পাঁচটি রাজ্যে যে লকডাউন থাকছে তা পরিষ্কার।

করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন হওয়ার কারণে ভারতের অর্থনীতি পুরোপুরি বেসামাল অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় দফায় ২০ এপ্রিল থেকে শর্ত সাপেক্ষে কিছু জায়গায় ছাড় দিয়েছেন। এই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, “দেশের অর্থনীতির বিষয়টা আমরা যেমন মাথায় রাখব ঠিক সে রকম ভাবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধটিও আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।”

তিনি বলেন যে প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং সামনের মাস থেকে প্রতিটি মানুষ যেন মাস্ক পড়েই রাস্তা বেরোয় এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।সামনের মাস থেকেই মাস্ক আমাদের সমাজ জীবনে একটি অঙ্গ হয়ে উঠবে এই বিষয়টি তিনি মাথায় রাখার কথা বলেছেন।

এর সাথে তিনি আরও বলেছেন, “দো গজ দুরি, পালন করতে হবে।” দো গজ দুরি বলতে তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন।