দুবরাজপুরে দুটি অশান্তির ঘটনায় গ্রেপ্তার মোট ৮

লাল্টু : গতকাল রাতে দুবরাজপুর থানার চিৎ গ্রামে একটা সমস্যা মেটানোর জন্য গ্রামের মোড়লদের নেতৃত্বে বসে বিচার সভা। সেই সভাকে কেন্দ্র করে সাবির খাঁ ও ইসলাম খাঁ এই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে গুলি চলে। গুলির আঘাতে আহত হয় ৮ জন।

খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই ঘটনায় আলি হােসেন ও মনির খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়।

এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এখনও গ্রামে চলছে পুলিশী টহল। অভিযােগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। আজ তাদের দুবরাজপুর আদালতে তােলা হলে তদন্তকারী অফিসার পুলিশী হেফাজতে চান। সেই মােতাবেক বিচারক ২ জনকে ৪ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে গতকাল দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা পঞ্চায়েতের বসহরি গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয় ৯ জন। তৃণমূল ও বিজেপি অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে দুবরাজপুর থানার পুলিশ উভয় পক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। আজ দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল
হেফাজতের নির্দেশ দেন।