নিজস্ব প্রতিবেদন : রাত পোহালেই দোলযাত্রা অর্থাৎ আবির খেলার পালা। আবার দোল যাত্রার পরদিন রয়েছে হোলি। পরপর দুদিন রঙের উৎসবে মেতে উঠতে দেখা যাবে আপামর বাঙালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের। যদিও বাংলায় মূলত সোমবারই দোলযাত্রা পালিত হবে। তবে এই দোলযাত্রায় নিজেদের মধ্যে রং নিয়ে আনন্দে উৎসবে মাতোয়ারা হলেও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে অংশগ্রহণকারীদের।
দোলের দিন অথবা হোলির দিন অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের কোনভাবেই রং মাখানো যাবে না তা অনেকদিন ধরেই একপ্রকার নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের নয়, এর পাশাপাশি অবলা পশু যেমন পথপুকুর সহ অন্যান্য প্রাণীদের গায়েও রং মাখানো (Dog Safety on Holi) যাবে না। যদি এমনটা করা হয়, তাহলে পুলিশ যে সকল ব্যক্তিরা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের থেকে শুরু করে অবলা পশুদের গায়ে যাতে রং না মাখানো হয় সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফ থেকে একটি কড়া নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার দোলযাত্রা এবং হোলির দিন যাতে কোথাও কোন গন্ডগোল না হয় তার জন্য পুলিশ কড়া নজরদারি চালাবে। অপরিসর রাস্তা, বহুতলগুলিতেও কড়া নজর রাখবে পুলিশ।
এরই সঙ্গে সঙ্গে লালবাজারে তরফ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, কোন অবলা পশুদের গায়ে কেউ যেন রং মাখিয়ে মজা না নেন। অবলা পশুদের গায়ের রং মাখানো থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য পশুপ্রেমীদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। এই ধরনের ঘটনা যদি সামনে আসে তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সমস্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হোলি এবং দোলযাত্রার দিন রং খেলায় মাতোয়ারা হয়ে ওঠা মানুষদের সতর্কভাবেই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
কুকুর এবং অন্যান্য অবলা প্রাণীদের গায়ের রঙ লাগালে ‘প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস’ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই বছরও এর অন্যথা হবে না। যে কারণে কুকুর অথবা অবলা প্রাণীদের গায়ের রং লাগানোর মত অপরাধ প্রথমবারের জন্য যদি হয়, তাহলে জরিমানা অথবা ৬ মাসের জেল হতে পারে। আসলে পথ কুকুর হোক অথবা যে কোন অবলা প্রাণী, তাদের গায়ের রং মাখানো হলে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। এসবের কারণেই এমন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।