গোডাউনে মাল স্টক রেখে কালোবাজারি চলবে না, হানা দিয়ে কড়া বার্তা পুলিশের

Madhab Das

Updated on:

হিমাদ্রি মন্ডল : পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই করােনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ জন, মৃত্যুও হয়েছে ১ জনের। করােনা ছড়াচ্ছে মেদিনীপুর থেকে নদিয়ায়, এমনকি উত্তরবঙ্গেও। তাই মুখ্যসচিব সকল জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বিভিন্ন দফতরের টাস্ক ফোর্স গড়ে জেলায় কালােবাজারি রুখতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান খােলা রাখতেই হবে। চা বাগানে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি কাজ করানাে যাবে না। হােম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের রােজকার রিপাের্ট প্রশাসনকে পাঠাতে হবে।

ঘোষণা মতোই লকডাউনের পরিস্থিতিতে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের দোকানপাট খোলা। আর এই অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য, মুদিখানার দ্রব্য ইত্যাদি নিয়ে কোথাও কালোবাজারি হচ্ছে কিনা, মজুতদারেরা জিনিসপত্র নিজেদের গোডাউনে মজুত করে বাজারে কৃত্রিম টান তৈরি করছেন কিনা সেই দিকে নজর দিতে রবিবার বীরভূমের বিভিন্ন জায়গার গোডাউনগুলিতে হানা বীরভূম পুলিশ প্রশাসনের। এদিন সিউড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল, ডিএসপি আইন-শৃঙ্খলা অভিষেক মন্ডল, ডিএসপি ডিইবির নেতৃত্বে পুলিশ মজুতদারদের গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পালের বক্তব্য, “আজ গোটা বীরভূম জেলা জুড়ে এরকম মজুদদারদের গোডাউনে হানা দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন, কেউ কোন জিনিসপত্র মজুত করে বাজারে কৃত্রিম টান আনছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখতে আজকে এই কর্মসূচি। গোটা জেলা জুড়েই এখন চলবে এই কর্মসূচি।”