মুর্শিদাবাদ থেকে ব্যবসার কাজে আসা ব্যক্তির দেহ উদ্ধার বীরভূমে

লাল্টু : ঘটনা গত ২২ শে নভেম্বরের। ব্যবসার কাজে মুর্শিদাবাদের সফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তি বর্ধমানের জামুড়িয়ার বাসিন্দা কাট্টু খানের বাড়িতে আসেন। সে সময় সফিকুলের কাছে ১২ লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকা হাতাতে বৃহৎ পরিকল্পনা কাট্টু খান ও তার স্ত্রীর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সফিকুলের কাছে থাকা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কাট্টু খান ও তার স্ত্রী মদিনা বিবি তাদের গাড়িচালক শেখ আনামুলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করে। সেসময় সেখানে আরও এক ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তারপর তারা সফিকুলের দেহ কম্বল, চাদর মুড়ে রাস্তা ধারে থাকা ভারী পিলারের সাথে জড়িয়ে দুবরাজপুর ইলামবাজার রাস্তায় রসুলপুরের শাল নদীতে ফেলে দেয়।

হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সফিকুল আলমের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রথমেই সন্দেহের তীর যায় কাট্টু খান ও তার স্ত্রীর দিকে। এরপর সোমবার বৈকাল বেলায় জামুড়িয়ার চান্দা মোড় থেকে কাট্টু খান তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।

সোমবার রাতেই দুবরাজপুর থানা ও জামুরিয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীর দেহ শাল নদী থেকে উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত, কাট্টু খানের বাড়ি দুবরাজপুরের চিৎগ্রাম এলাকায়, যদিও তিনি বর্তমানে আকালপুর মোড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন।