অমরনাথ দত্ত : রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভ বিক্ষোভ বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা পত্র দেওয়া, দল থেকে পদত্যাগ, এই সকল আলোচনার পাশাপাশি দলের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হওয়া আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন তৃণমূল নেতাকে সোশ্যাল মিডিয়া অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে সরব হতে দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঠিক একই ঘটনা বীরভূমে, তাও আবার স্বয়ং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, যিনি বর্তমানে জেলার সহ-সম্পাদক। আর তার একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সকাল থেকেই শোরগোল পড়ে যায়। ফেসবুক পোস্টে লেখা, ‘অহংকার পতনের কারণ। মানুষকে মানুষের সম্মান দিতে হবে, রাজনীতি পরে। ভাইপোকে পিছনের সারিতে রাখতে হবে।’
আর এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে যখন রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে তখন অবশ্য ওই পোস্ট ডিলিট করা হয়ে গেছে। পাশাপাশি ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “আমি এই পোস্ট করিনি। আমার ফেসবুক প্রোফাইল কেউ হ্যাক করে পোস্ট করেছে। আমি এর জন্য সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করবো।” পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, “চক্রান্ত চলছে। আমরা জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলে আছি এবং তৃণমূলেই থাকবো।”
পাশাপাশি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও জানিয়েছেন, “সুদীপ্ত পোস্ট করেনি। ওর প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছিল। ও সাইবার ক্রাইমে একটা আমি অভিযোগ করবে।”
তবে তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি ফেসবুকে এমন পোস্ট নিয়ে পোস্ট ‘পোস্ট না করার’ দাবি তুললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতিতে যে শোরগোল তৈরি হয়েছে তারপর বিভিন্ন মহলে নানান জল্পনা থেকেই যাচ্ছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে! পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে এত বড় তৃণমূল নেতার ফেসবুক কিভাবে হ্যাক হল? আর এবিষয়ে তদন্ত করার পর কি উঠে আসে সেটাই দেখার।