নিজস্ব প্রতিবেদন : অধিকাংশ মানুষ উপার্জনের পাশাপাশি সেই উপার্জন ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় রাখার চেষ্টা চালান। সঞ্চয় রাখার পাশাপাশি গ্রাহকদের লক্ষ্য থাকে বেশি সুদ পেয়ে তাদের টাকা তাড়াতাড়ি ডবল হওয়ার। এই লক্ষ্যমাত্রায় নেমে অধিকাংশ মানুষকে ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি বড় অংশের মানুষ পোস্ট অফিসের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর নির্ভরশীল হন।
পোস্ট অফিসের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হলো, এই পোস্ট অফিসের অধিকাংশ যে সকল স্কিম রয়েছে সেগুলিতে সুদের পরিমাণ ব্যাংক অথবা অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুলনায় বেশি থাকে। এছাড়াও সরকারি সংস্থা হিসাবে পোস্ট অফিসের ওপর বহু মানুষের বিশ্বাস অনেক বেশি। পোস্ট অফিসে দীর্ঘ মেয়াদী অনেক স্কিম রয়েছে যেগুলিতে গ্যারান্টেড রিটার্ন পাওয়া যায়।
পোস্ট অফিসের এই সকল প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হলো কিষাণ বিকাশ পত্র। এতে সুদের পরিমাণ যেমন অনেক বেশি, তেমনি আবার এই স্কিমে থাকা টাকার সুদ পাওয়া যায় চক্রবৃদ্ধি হারে। সুতরাং অন্যান্য অনেক প্রকল্পের তুলনায় এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের লাভ অনেক বেশি হয়। এতে আমানতকারীদের বার্ষিক সুদ দেওয়া হয় ৬.৯ শতাংশ।
এই প্রকল্পের আওতায় যদি কোন ব্যক্তি এক লক্ষ টাকা জমা রাখেন তাহলে ৬.৯ শতাংশ সুদের হার এবং চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের হারের পরিপ্রেক্ষিতে সেই টাকা ১২৪ মাসের দ্বিগুণ অর্থাৎ দু’লক্ষ টাকা হয়। হিসাব অনুযায়ী এই টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগে ১০ বছর এবং ৪ মাসের কিছুদিন কম।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ করা যায় মাত্র ১০০০ টাকা। আবার বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোন ঊর্ধ্বসীমা রাখা হয়নি। এছাড়াও একজন ব্যক্তি একাধিক কিষান বিকাশ পত্র অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়াও নমিনি সহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।