নিজস্ব প্রতিবেদন : জীবন-যাপনের জন্য প্রতিদিন রোজগারের পাশাপাশি সঞ্চয়ের দিকেও অধিকাংশ মানুষেরই ঝোঁক রয়েছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সঞ্চয়ের দিকে হাত বাড়াতে দেখা যায় তাদের। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষকে ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের মতো জায়গায় বিনিয়োগ করতে দেখা যায়।
তবে দেখা যায় ব্যাংকের তুলনায় অনেক মানুষের রয়েছে পোস্ট অফিসের প্রতি আলাদা ভরসা। পোস্ট অফিসের উপর আলাদা ভরসা এবং বেশি সুদ পাওয়ার কারণে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় অধিকাংশ ব্যাংক স্বল্প সময়ের ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ শতাংশ সুদ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পোস্ট অফিসে সুদের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ।
পোস্ট অফিসের এমন বেশি সুদ পাওয়া স্কিমটির নাম হল পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন স্কিম বা SCSS। স্কিমের নাম দেখেই বোঝা যায় এই স্কিমটি প্রবীণ নাগরিক অর্থাৎ ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য। এর পাশাপাশি যদি কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর নেন তাহলে তিনি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পের আওতায় সুদ দেওয়া হয়ে থাকে ৭.৪ শতাংশ। এই সুদ যেকোনো ব্যাংক অথবা অন্য কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সুদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এর পাশাপাশি এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগ করার জন্য কেবলমাত্র এককালীন বিনিয়োগ করলেই হয়। এই প্রকল্পে যারা বিনিয়োগ করে থাকেন তাঁরা তাদের মূলধন এবং সুদ একসঙ্গে পেয়ে থাকেন।
এর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই প্রকল্পের আওতায় যেকোনো ব্যক্তি মাত্র এক হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই প্রকল্পের আওতায় যদি কোন ব্যক্তি এককালীন ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে পাঁচ বছর পর তার সুদ সহ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১৪ লক্ষ টাকার বেশি।