নিজস্ব প্রতিবেদন : যে সকল সরকারি কর্মচারীরা ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন অথবা সাংবাদিক সহ এই ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্তরা পোস্টাল ব্যালটের (Postal Ballot) মাধ্যমে ভোট দিয়ে থাকেন। মূলত ভোট গ্রহণের দিন তারা ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আগেই তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিজেদের মতামত পোষণ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
তবে আগে পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ছিল সেই নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে। এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম (Postal Ballot Rules Changed) জারি করা হলো, যে নতুন নিয়মের ফলে একদিকে যেমন এই সকল অভিযোগের অবসান ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে, ঠিক সেই রকমই আবার যারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন তারা আরও বেশি সুবিধা পাবেন।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে মূলত এবার ভোট কর্মীদের ভোট দেওয়ার জন্য দুটি অপশন চালু করে দেওয়া হল। এক্ষেত্রে প্রথম অপশনটি হল রিটার্নিং অফিসারের অফিসে গিয়ে ভোট দান, আর দ্বিতীয় অপশনটি হল ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ভোট দান। এই দুটি অপশন চালু করে দেওয়ার ফলে যে সকল ভোট কর্মীরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে ভোট দিতে চান তাদের আরও সহজ হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।
আরও পড়ুন ? Model Code of Conduct: আর করা যাবে না এই সব কাজ, সরকার থেকে প্রার্থী, মানতে হবে MCC
রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে গিয়ে ভোট কর্মীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে পি মাইনাস ওয়ান পদ্ধতি রয়েছে। এর অর্থ হলো ওই ভোট কর্মীর লোকসভা কেন্দ্রে যেদিন ভোট রয়েছে তার তিনদিন আগে থেকে একদিন আগে পর্যন্ত ভোট দিয়ে আসতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কোন ভোট কর্মীর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ রয়েছে ১৩ মে। সেক্ষেত্রে তিনি ১০ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
দ্বিতীয় যে অপশনের কথা বলা হয়েছে তাতে ভোট কর্মীরা যেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অর্থাৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এমন দুটি অপশন চালু করে দেওয়ার ফলে ভোট কর্মীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে আগের থেকে অনেক সুবিধা বেড়ে গেল।