শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : দীর্ঘদিন যাবৎ বহু মানুষ পোস্টাল প্রকল্পকে বিশ্বাস ও ভরসার সাথে বিনিয়োগ করে আসছে। নিশ্চয়তা ও সুরক্ষা দুইয়ের ক্ষেত্রেই এই বিনিয়োগের জুড়ি নেই।
পোস্টাল আমানত প্রকল্পে বহু অগনিত মানুষ নিশ্চিন্তে তাঁদের অর্থ গচ্ছিত রাখেন। সরকারি নিশ্চয়তার সাথে সাথে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে টাকাও ফেরত পাওয়ার সুবিধা থাকে। পোস্টাল বীমা প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন নানা সরকারি কর্মচারীরা। সেক্ষেত্রে ছয় ধরনের ইন্সুরেন্স স্কিম রয়েছে। সেই ইনসিওরেন্স স্কিমগুলির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জেনে রাখা দরকার।
১) সুরক্ষা – হোল লাইফ অ্যাসুরেন্স : একমাত্র যখন গ্রাহকের বয়স ৮০ বছর হবে তখনই সেক্ষেত্রে হোল লাইফ অ্যাসুরেন্স ও বোনাস পাওয়ার সুবিধা পাবে গ্রাহক। এই ক্ষেত্রে নূন্যতম বয়স হতে হবে ১৯ বছর কিন্তু ৫৫ বছরের পর শুরু করা যাবে না। এই স্কিমের ক্ষেত্রে নূন্যতম সাম অ্যাসুয়ার্ড ২০,০০০ টাকা এবং ঊর্ধ্বতম ৫০ লক্ষ টাকা। তিন বছর পর গ্রাহক সারেন্ডার করতে পারবেন এবং চার বছর পর লোনের সুবিধা পেতে পারবেন।
২) বাল জীবন বীমা – চিলড্রেন পলিসি : দুটির বেশি সন্তান এই ক্ষেত্রে পলিসি হোল্ডারের কভারেজ পেতে পারবেন না। ৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে সন্তানের বয়স হতে হবে। পলিসি হোল্ডার অর্থাৎ মা বাবার বয়স ৪৫ বছরের বেশি না হয় এবং যদি মারা যান তখন কোনো প্রিমিয়াম দিতে হবে না।
৩) মানি ব্যাক : জাতীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে সুমঙ্গল যেটি আদতে একটি anticipated endowment assurance ধরনের একটি বিমা। কোনো গ্রাহক কিছু বছর অন্তর নির্দিষ্ট টাকা পেতে চাইলে এই স্কিমটি বেছে নেওয়া যেতে পারে। টার্মের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ বছরের হয়। এখানে সারভাইভেল বেনিফিট দেওয়া হয়। এটি জাতীয় প্রকল্প হিসেবে পরিচিতি।
প্রাচীন পরিষেবার মধ্যে পোস্টাল ইনসিওরেন্স একটি অন্যতম। ১৮৮৪ সালে চালু হওয়ার পর বর্তমান রূপে এসেছে। পলিসি অনলাইনে কেনা যেতে পারে এছাড়াও স্থানীয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সঠিক বেছে নেওয়া যেতে পারে।