নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে চলছে লকডাউন, আর এই লকডাউন চলাকালীন এমনিতেই আমজনতার পকেটে নগদে টান পড়ছে। আর এমন মুহূর্তেই দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির কারণে সংসার চালানো নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। তৃপ্তি করে সামান্য আলু সেদ্ধ ভাত খাওয়ার জো টুকুও নেই। কারণ এখন আলুর দাম যে আকাশছোঁয়া।
দিন কয়েক ধরেই বাজারে হু হু করে বাড়ে আলুর দাম। জ্যোতি আলুর বিকোচ্ছে ৩০ টাকা কিলো দরে আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা কিলো। আর এই আলুর অবাঞ্ছিত দাম বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শুক্রবার আলু নিয়ে নবান্নে একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী রবিবার থেকে সুফল বাংলায় ২৫ টাকা করে কিলো আলু দেওয়ার।
হঠাৎ করে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়াতে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি করছেন বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ও ওড়িশার মত রাজ্যে। যে কারণে আলুর ফলন বেশি থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে এর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর আলুর দামের এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আলু ব্যবসায়ীদের ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আর এই ৫ দিনের মধ্যেই বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক করতে হবে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে অনেক আলু ব্যবসায়ী আরো দাম বৃদ্ধি পাওয়ার দিকে পথ চেয়ে কোল্ড স্টোরেজে আলু স্টোর করে রেখেছেন। যে কারণে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৪০ বস্তার বেশি আলু কোনভাবেই মজুদ করে রাখা যাবে না। আর এনিয়ে আগামী দিনে হয়তো অভিযান শুরু করবে রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গতবছরও দেখা গিয়েছিল এইভাবে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি। যে কারণে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সুলভমূল্যে সুফল বাংলায় পেঁয়াজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্তের পরেই দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন সুফল বাংলা কাউন্টারগুলিতে অজস্র মানুষের ভিড় জমানো।