পৌষমেলার বিকল্প মেলা বোলপুরে, কি কি থাকছে মেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : গতবছর করোনা কারণে হয়নি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। এই বছরও এখনও পর্যন্ত এই মেলা হবে, না হবে না তা নিয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে যেহেতু হাতে আর দিন সংখ্যা নেই বললেই চলে, তাই মনে করা হচ্ছে এই বছরও গত বছরের মতো পৌষমেলা হবে না।

পৌষমেলা হবে না এমনটা ভেবেই বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বীরভূম জেলা প্রশাসনের কাছে বিকল্প একটি মেলার আয়োজন করার আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা প্রশাসন বিকল্প মেলার অনুমতি দেয়। অনুমতির পাশাপাশি সেই মেলা আয়োজনের জন্য বোলপুর ডাকবাংলো মাঠকে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই এই মেলার আয়োজনের জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

ইতিমধ্যেই এই জায়গায় স্টল তৈরীর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বোলপুর পৌরসভার প্রশাসক পর্ণা ঘোষ শুক্রবার এই মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন এবং বিকালেই রূপরেখা তৈরি করার জন্য বোলপুর প্রশাসনিক ভবনে আয়োজক এবং প্রশাসনের একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে উঠে আসে কি কি থাকছে এই মেলায়। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য কি কি ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।

মেলা আয়োজনের জন্য বোলপুর পৌরসভার তরফ থেকে আয়োজকদের সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যেমন জল, বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ডাস্টবিন এবং কর্মী দেওয়া হবে। প্রশাসনিকভাবে নিরাপত্তার জন্য বোলপুর এবং শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। নিরাপত্তার জন্য মেলার সব প্রান্তের লাগানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।

অন্যদিকে প্রশাসনের তরফ থেকে মেলা উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্তমান করোনাকালে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়। তৈরি হওয়া স্টলগুলির মধ্যে যেন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হয়। মেলায় কর্মরত কর্মী থেকে ভলেন্টিয়ার, আগত প্রত্যেকের মুখে যেন ফেস মাস্ক থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

মেলায় তৈরি করা হচ্ছে একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ, যেখানে প্রতিদিন কোন না কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। এ ছাড়া থাকছে প্রায় ৮০০টি স্টল। দুটি মাঠে হবে মেলা। থাকছে নাগরদোলা সহ বিভিন্ন বিনোদনের জিনিসপত্র। মেলা চলবে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।