নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ থেকে কয়েক বছর আগেও অনেক প্রতিভা প্রকাশ হওয়ার সুযোগ না পেয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে যেতো। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া সেই প্লাটফর্মটা করে দিয়েছে, যার ফলে রিয়েলিটি শোতে না গিয়েও ছোট্ট একরত্তি খুদে থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সের মানুষ ঘরে বসে নিজের প্রতিভা দ্বারা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি একটি খুদে প্রতিভার প্রকাশ। ২২ শে শ্রাবণ কবিগুরু রবি ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস ছিলো। ওই দিন বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধা জানাতে খুদে একটি গান গায়। আর সেই গানের দ্বারাই সে ভাইরাল হয়ে গেছে। প্রজ্ঞা মেধা সরকার নামের খুদে একটি মেয়ে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রজ্ঞা মেধা সরকার নামের ছোট্ট খুদে মেয়েটি এর আগেও অনেক কয়েকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই গানের দৌলতে। সম্প্রতি রবীন্দ্র স্মরণে গান গেয়ে সে ভাইরাল হল।
রবি ঠাকুর আর রবীন্দ্র সংগীত দুই বাঙ্গালীদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। বলা হয় রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া নাকি খুব কঠিন একটা বিষয়। কারণ এই গানের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে অনুভূতি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। রবি ঠাকুরের গানের মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি গভীরতা। তাই খুদে প্রতিভাদের কাছে রবি ঠাকুরের গান বেশ কঠিন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, হলুদ রঙের ফ্রক পড়ে প্রঞ্জা মেধা একটি চেয়ারের মধ্যে বসে হেলেদুলে গানটি গেয়েছে। গানটি শুরু করার আগে সে আদো আদো গলায় জানিয়েছে, “নমস্কার আজ ২২ শে শ্রাবণ। আজকে আমি কবিগুরুর একটি গান গাইবো। তোমরা শোনো।”
এরপর প্রজ্ঞা রবি ঠাকুরের গান ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’ গাইতে শুরু করে। ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি শুনলে বোঝা যাবে কত সুন্দর হেলেদুলে হাসতে হাসতে ওই খুদে রবি ঠাকুরের গান গাইছে। গানটা গাওয়ার সাথে সাথে তার মনের মধ্যেও যে একটা আনন্দের ভাব সেটা প্রকাশ হচ্ছে। সত্যি আনন্দের সাথে যদি কাউকে কিছু শেখানো হয় সে যতই খুদে হোক না কেন সে সেটা আনন্দের সঙ্গেই শেখে প্রজ্ঞার ভিডিওটি সেটাই প্রমাণ করলো।