নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) সুক্ষভাবে সফট ল্যান্ডিং করিয়ে ইতিহাস গড়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের এমন সাফল্যে দেশের ১৪০ কোটির বেশি মানুষ গর্বিত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের প্রতিটি দেশের তরফ থেকেই এসেছে শুভেচ্ছা। ল্যান্ডার সফট ল্যান্ডিং করানোর পর ইতিমধ্যেই সেখানে কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)।
চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞানের কাজ করা খুব সহজ বিষয় হবে না তা প্রত্যেকেরই জানা ছিল। বিজ্ঞানীরা সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে প্রজ্ঞানকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করান। তবে পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় সিলেবাসের বাইরে থেকেও প্রশ্ন দেওয়া হয়ে থাকে। ঠিক সেই রকমই প্রজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটলো। তাও আবার একটি নয়, সিলেবাসের বাইরের দু’দুটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল প্রজ্ঞানকে।
সিলেবাসের বাইরের এমন দু’দুটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে প্রজ্ঞানকে তা এক প্রকার ভাবা ছিলই না। এরপরেও প্রথম ধাপ কোনভাবে পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয়টি আর বড় গাঁট। এরপরই প্রজ্ঞানের সঙ্গে চলে অসম লড়াই। যার পরেই প্রত্যেকের মধ্যেই আশঙ্কা তৈরি হয় এখন কেমন রয়েছে প্রজ্ঞান। দুটি বড় বড় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের পর প্রজ্ঞান কেমন অবস্থায় রয়েছে তার আপডেট দিয়েছে ইসরো।
প্রজ্ঞানকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানোর আগে ট্রেনিং দেওয়া হয় এবং সেই ট্রেনিং অনুযায়ী তার পথে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পাথর পড়লেও সে উল্টাবে না। কিন্তু চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চলাচলের সময় তার পথের কাঁটা পাথরের পরিবর্তে হয়ে দাঁড়ায় গর্ত। যে গর্ত ছিল ১০ সেন্টিমিটারে। তবে প্রথম এই কাঁটা সফলভাবেই পার করেছে প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতে প্রথম এই বাধার সম্মুখীন হয় প্রজ্ঞান কাজ শুরু করার ১২০ ঘন্টা পর।
Chandrayaan-3 Mission:
On August 27, 2023, the Rover came across a 4-meter diameter crater positioned 3 meters ahead of its location.
The Rover was commanded to retrace the path.It's now safely heading on a new path.#Chandrayaan_3#Ch3 pic.twitter.com/QfOmqDYvSF
— ISRO (@isro) August 28, 2023
প্রথম এই প্রাকৃতিক বাধা বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে একটি ক্রেটার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথম বাধা পেরিয়ে যাবার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রজ্ঞানের সামনে এসে হাজির হয় দ্বিতীয় বাধা। আর সেটি ছিল প্রথমে থেকে কয়েকগুণ বেশি বড়। এই গর্ত আয়তনে বিশাল ব্যসের, ছিল ৪ মিটারের বেশি। প্রজ্ঞান প্রায় ৩ মিটার দূর থেকে এমনটা দেখেই সঙ্গে সঙ্গে পথ ঘুরিয়ে নেয়। ইসরোর বিজ্ঞানীরা কোনরকম দেরি না করেই অন্য পথে নিয়ে যায় প্রজ্ঞানকে। আর এসবের পর এখন প্রজ্ঞান সমস্ত বাধা টোপকে সুস্থ রয়েছে বলেই জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।