নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ জুলাই। তার এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন হিসাবে ঠিক করা হয়েছে ১৮ জুলাই এবং ফলাফল প্রকাশিত হবে ২১ জুলাই। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের শাসক দল এবং বিরোধীরা তাদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
বিরোধী দলগুলির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী আমলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। অন্যদিকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে আদিবাসী মহিলা দ্রৌপদী মুর্মুকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রৌপদী মুর্মুই হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।
দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মু এক প্রকার নিশ্চিত হলেও একটি রাজ্য থেকে তিনি একটিও ভোট পাবেন না এমনটাই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদি না সেখানকার কোন সাংসদ অথবা বিধায়ক ক্রস ভোটিং না করে থাকেন। সেক্ষেত্রে ওই রাজ্য থেকে একটিও ভোট দিতে না আসার সম্ভাবনাই বেশি। ওই রাজ্যটি হল কেরল।
কেরলে মোট ১৪০ জন বিধায়ক, ২০ জন সাংসদ এবং ৯ জন রাজ্যসভায় মনোনীত সাংসদ হলেও তাদের মধ্যে একজনও এনডিএ শিবির থেকে নির্বাচিত অথবা মনোনীত হননি। যে কারণে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই রাজ্যের ৪১,৫৮০টি ভোটের একটিও দ্রৌপদী মুর্মু ঝুলিতে যেমন না আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ঠিক তেমনই আবার সবকটি ভোটই যশবন্ত সিনহার ঝুলিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যদি বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহা জয়লাভ না করেন তাহলে তাকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।