নিজস্ব প্রতিবেদন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন দ্রৌপদী মুর্মু। অন্যদিকে যশবন্ত সিনহা বিরোধী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করেন। বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ হিসাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম থেকেই দলের নির্দেশ ছিল ক্রস ভোটিং না হয়ে যেন যশবন্ত সিনহাকেই ভোট দেওয়া হয়।
২১ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনার ফলাফল সামনে আসার পর দেখা যায় দলের নির্দেশ অমান্য করে তৃণমূলের এক বিধায়ক ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় বাংলা থেকে ৭১টি ভোট পেয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। শুধু তাই না, এছাড়াও চারজন তৃণমূল বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে।
বর্তমানে বাংলায় বিজেপির ঘরে রয়েছেন মোট ৭০ জন বিধায়ক। সুতরাং দ্রৌপদী মুর্মুর হয়ে ৭০ টি ভোট পড়ার কথা ছিল। সেই জায়গায় ভোট পড়েছে ৭১ টি। আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক ভোট দান থেকে বিরত থাকায় স্পষ্ট এই একটি ভোট গিয়েছে তৃণমূল থেকেই। অন্যদিকে বিধায়কদের দলবদলের পর তৃণমূলের ঘরে যে সংখ্যক বিধায়ক সংখ্যা রয়েছে তার জায়গায় যশবন্ত সিনহার খাতায় ভোট পড়েছে ২১৬। অংক বলছে হিসাবের তুলনায় পাঁচটি ভোট কম পেয়েছেন যশবন্ত সিনহা।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ক্রস ভোটিং অর্থাৎ বিরোধী পক্ষের প্রাপ্তি যশবন্ত সিনহাকে বাদ দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের অনেক রাজ্যের বিধায়কদের মধ্যে প্রবণতা দেখা গিয়েছে তাদের দলের নির্দেশ অমান্য করে। আসামেও এই ধরনের ক্রস ভোটিং হয়েছে। এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, বিধায়করা ছাড়াও তৃণমূলের সাংসদরাও এমন ক্রস ভোটিং করেছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের ফলাফল সামনে আসতে খুশির হাওয়া এখন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি শিবিরে। অন্যদিকে এই ঘটনার পর তৃণমূল নতুন অংক করতে শুরু করেছে। তাহলে কি দলের মধ্যে থেকে কেউ অন্য দলের হয়ে কাজ করছে তা নিয়েই সংশয়।