সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কে এগিয়ে, কি বলছে হিসাব-নিকাশ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারিভাবে ঘোষণা হয়ে গেছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ। দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ জুলাই। তার দিন চারেক আগে অর্থাৎ ১৮ জুলাই হবে এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২১ জুলাই।

Advertisements

যদিও এবারের এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন হবে নাকি শাসক ও বিরোধী দল একজোট হয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে একজনকে বেছে নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ভিতরে ভিতরে আলোচনা চললেও বাইরে শাসক ও বিরোধী কোনো দলই কোনো রকম টু শব্দ করছে না তাদের প্রার্থী নিয়ে। তবে শাসক দল কাকে প্রার্থী করছে তা এক প্রকার ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisements

অন্যদিকে বিরোধী দলগুলি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও একপ্রকার ছন্নছাড়া। এখনো পর্যন্ত তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিছু সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তবে যদি শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে লড়াইটা বেশ জমজমাট হতে পারে। অন্ততপক্ষে হিসাব তেমনটাই বলছে।

Advertisements

সাংসদ, বিধায়ক, বিধান পরিষদের সদস্যরা মিলে মোট ৪ হাজার ৮০৯ জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদানে অংশগ্রহণ করবেন। এই ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে এক একজন সাংসদ পিছু ৭০৮টি ভোট ধরা হয়ে থাকে। বিধায়কদের ক্ষেত্রে এক একজন বিধায়ক কিছু ভোটের সংখ্যা রাজ্যের ভিত্তিতে নির্ভর করে। একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য সবচেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশে। সেখানে একজন বিধায়কের ভোট সমান ২০৮।

এই সকল সংখ্যার নিরিখে উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও আগের তুলনায় সংখ্যা কমেছে। একইভাবে উত্তরাখণ্ড রাজ্যেও বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমেছে। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমেছে গোয়াতেও। পাঞ্জাবেও বিজেপির অবস্থা খারাপ। পাশাপাশি সেখানেই তাদের হাতছাড়া হয়েছে অকালি দল। সব মিলিয়ে বিজেপির ভোট সংখ্যা শেষ রাষ্ট্রপতি বেছে নেওয়ার সময় যা ছিল তার থেকে অনেক কমেছে। সুতরাং শাসক দল বিজেপির রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও নির্বাচন হলে বেগ পেতে হতে পারে তাদের।

Advertisements