নিজস্ব প্রতিবেদন : রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তার মেয়াদ শেষ করবেন আগামী ২৪ জুলাই। তার এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন রাষ্ট্রপতি হিসাবে বেছে নেবে দেশ। নতুন রাষ্ট্রপতি বেছে নেওয়ার জন্য সরকারিভাবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে ১৮ জুলাই এবং ফলাফল ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়েছে ২১ জুলাই। তবে এবার এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের জন্য নিয়মে বদল আনা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থী হওয়ার জন্য এর আগে সাধারণ মানুষও মনোনয়ন জমা দিতে পারতেন। সাধারণ মানুষের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, তবে এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে যা তাদের পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নাগালের বাইরে চলে গেল।
নতুন নিয়ম অনুসারে বলা হয়েছে, যারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চান তাদের অন্তত পক্ষে ৫০ জন প্রস্তাবক এবং ৫০ জন সমর্থকের প্রয়োজন হবে। এই ৫০ জন প্রস্তাবক ও সমর্থক হবে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্য অর্থাৎ সাংসদ অথবা বিধায়ক। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে প্রস্তাবক এবং সমর্থক আলাদা হতে হবে।
নতুন এই নিয়ম অনুসারে যে প্রস্তাবক হবেন তিনি আবার সমর্থক হতে পারবেন না। অর্থাৎ কেউ যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে চান তাহলে তাকে অন্ততপক্ষে ১০০ জন ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত হিসাবে আগে যা ৫ হাজার টাকা নেওয়া হতো তা এখন করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ৯৫ জন প্রার্থী মোট ১০৮টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। একজন প্রার্থী চারটি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। সেই হিসাবে এত সংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। তবে যাচাই এবং বাছাইয়ের পর মাত্র দু’জন অর্থাৎ রামনাথ কোবিন্দ এবং মীরা কুমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বাকিদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। এবার এই নিয়মে বদল এমন ধরনের অতিরিক্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে থামাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।