Primary TET: ফের পেছালো প্রাথমিক টেট! আইনি জটের ফলে নিয়োগ দেরি

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Primary TET: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা পিছন ছাড়ছে না। নানারকম বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক নিয়োগ শিক্ষক পদ্ধতি। গতবছর যেসব পরীক্ষার্থীরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারা এখনো পর্যন্ত চাকরি পাননি। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইনি জটিলতা। তাহলে কি এবছর হবেনা প্রাথমিক টেট পরীক্ষা? কি বলছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ?

Advertisements

এখনো পর্যন্ত গত বছরের উত্তীর্ণদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি এবং এই বছরের আইনি জটিলতার কারণে হবেনা চলতি বছরের প্রাথমিক টেট (Primary TET)। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবছর বহু মানুষ অপেক্ষা করে টেট পরীক্ষার জন্য কিন্তু এই পরীক্ষার জটিলতা কাটছে না কোনোভাবেই।

Advertisements

আরো পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীসভায়, নেওয়া হল বিশেষ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত

২০২২ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল প্রায় পাঁচ বছর পর। সেইবছর পরীক্ষা দিয়েছিল প্রায় সাত লক্ষ পরীক্ষার্থী, যার মধ্যে অন্তত দেড় লক্ষ উত্তীর্ণ হন। ২০২৩ সালেও টেট (Primary TET) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল কিন্তু যার ফলপ্রকাশ করা এখনো সম্ভব হয়নি। রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিল প্রায় ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। কিন্তু পরীক্ষায় বসেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার। কেন এখনো পর্যন্ত ফলপ্রকাশ করা সম্ভব হয়নি গত বছরের টেট পরীক্ষার?

Advertisements

আরো পড়ুন: ১২০০ এর থেকেও বাড়তে পারে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা! সূত্রের খবর ঠিক কি

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল কি বলেছেন এই বিষয়ে? গত বছরের টেট (Primary TET) পরীক্ষাতে যে আইনি জটিলতা রয়েছে তা না মেটা পর্যন্ত কোনোভাবেই ফল প্রকাশ সম্ভব নয়। ফলপ্রকাশ তখনই হবে যখন সমস্যার সমাধান হবে। বহু পরীক্ষার্থী এখনো অপেক্ষা করে রয়েছে ফলপ্রকাশের জন্য। পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা বজায় রেখেই তারা সব কাজ করবে। পর্ষদের মূল উদ্দেশ্য প্রতিবছর টেট পরীক্ষা সম্পন্ন করা। কিন্তু আইনি জটিলতায় নিয়োগ হয়নি। তাই এবার টেট হবে না। ৬ মাসের মধ্যে পরীক্ষা নিশ্চয়ই নেওয়া হবে।

রাজ্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বারবারই নানা অভিযোগ উঠছে। চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন পর্যন্ত করেছে। প্রাথমিক টেট না হওয়ার সিদ্ধান্তে চাকরিপ্রার্থীরা রীতিমতো হতাশ। যেসব পরীক্ষার্থীরা ডিএলএড পাশ করেছেন তাদের সংখ্যা পরীক্ষা না হলে আরও বৃদ্ধি পাবে। আশা করা যাচ্ছে আইনি জটিলতা মিটে গেলে শীঘ্রই নিয়োগ পদ্ধতি শুরু হবে।

Advertisements