রেশন দুর্নীতিতে নতুন মুখের হদিশ! বোমা ফাটালেন খোদ বালুর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) মামলায় বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারই থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবার তার টানে টানে নাম আসছে মন্ত্রি কন্যা প্রিয়দর্শিনী (Priyadarshini Mallick) এবং স্ত্রী মণিদীপারও। মূলত মাত্র কয়েক বছরে তাদের সম্পত্তি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই নাম উঠে আসছে।

এই বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী সেই ভাবে কিছু না জানালেও তার মেয়ে প্রিয়দর্শিনী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই উঠে এসেছে একাধিক জানা অজানা তথ্য। এর পাশাপাশি ওই টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়দর্শিনী বারবার দাবি করেছেন তিনি নির্দোষ এবং তিনি তদন্তের মুখোমুখি হতে তৈরি। তবে তার মায়ের সম্পত্তির প্রশ্ন থেকে শুরু করে ‘মমতা ও অভিষেক সব জানেন’ বিষয়ে তিনি নিজে উত্তর না দিয়ে তাদেরকেই জিজ্ঞেস করতে হবে বলে দায় সেড়েছেন।

ওই টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই উঠে আসে ভুয়ো সংস্থার প্রসঙ্গ। যে সকল ভুয়ো সংস্থায় ডিরেক্টর হিসাবে রয়েছেন তিনি। এই প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, তিনি ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন না এমনটা নয়। তবে সেই কোম্পানি তার হাত থেকে পড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে অন্য কেউ ডিরেক্টর হয়েছিলেন। তিনি এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে ভুয়ো সংস্থার কথা বলা হচ্ছে সেই সংস্থা থেকে তার কোন আর্থিক লাভ হয়নি।

রেশন দুর্নীতির ৮ কোটি টাকা ওই ভুয়ো সংস্থায় জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রিয়দর্শিনী জানিয়েছেন, তার আগে যিনি ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তার আমলে সেই টাকা জমা পড়েছিল। তার অর্থাৎ প্রিয়দর্শিনীর আমলে এই ধরনের কোন টাকা জমা পড়েনি। প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের এই উত্তরেই মোটামুটি ভাবে নতুন কোন ডিরেক্টরের হদিস পাওয়া গেল বলেই ধরা যেতে পারে। তবে ওই ডিরেক্টর কে ছিলেন অর্থাৎ প্রিয়দর্শিনী কার দিকে আঙ্গুল তুলেছেন তা স্পষ্ট করেননি।

অন্যদিকে প্রিয়দর্শিনী জানিয়েছেন, কোন কোম্পানি ভুয়ো বলে শুরু হয় না আর কেউ যেচে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর হতে চাই না। নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়েই কোম্পানি খোলা হয় এবং সেই লক্ষ্য তার কাছে স্পষ্ট ছিল বলেই তিনি ডিরেক্টর হয়েছিলেন। এছাড়াও তার অ্যাকাউন্টে যে ৩.৩৭ কোটি টাকা রয়েছে সেই টাকা সম্পর্কেও তিনি মুখ খুলেছেন। এক্ষেত্রে তিনি তার সম্পত্তি এবং বিভিন্ন জমি জমা থেকে আসা অর্থ থেকে ওই টাকা হয়েছে এবং তার সম্পূর্ণ হিসাব রয়েছে বলেও দাবি করেছেন।