প্রসূন কান্তি দাস: সিএনজির (Compressed Natural Gass) সমস্যা মিটে যাবে নিমেষে, এবার সময়সীমা বেঁধে দিলেন খোদ পরিবহন মন্ত্রী। পেট্রোল ডিজেলের খরচ কমাতে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে একাধিক সিএনজি গাড়ি। চার চাকা অথবা দুই চাকার গাড়িতে রয়েছে সিএনজি পরিষেবা। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। সিএনজিপি পরিষেবাযুক্ত গাড়ি বাজারে আনা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু যোগান দেওয়া যাচ্ছে না সিএনজি গ্যাসের। তাই সমস্যায় পড়ছেন চালকরা। কিন্তু চিন্তার আর কোন কারণ নেই। খুব শীঘ্রই মিটে যাবে এই সমস্যা। সম্প্রতি একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিএনজি চালিত অ্যাপ-ক্যাব কিংবা বাইকের সংগঠনগুলি সাথে। সেখানেই খুব শীঘ্রই সিএনজির সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
এই মুহূর্তে সিএনজি (Compressed Natural Gass) গাড়ির চাহিদা অনেক বেশি। বাস থেকে শুরু করে অ্যাপ-ক্যাব, বাইক কোন কিছুই বাদ নেই। সিএনজি পরিষেবা পাওয়া যায় প্রায় সবকিছুতেই। সরকারি বেসরকারি বাস, বাইক, অ্যাপ-ক্যাব সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিন ৫১ টন সিএনজির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই পরিমাণ সিএনজির যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সরকারের পক্ষে। আপাতত প্রতিদিন মাত্র ১৬ টন সিএনজির যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত সিএনজি বয়ে নিয়ে আসতে সমস্যায় পড়তে হয় পরিবহন দপ্তরকে। সেই সমস্যা মেয়েটাতে তৈরি করা হচ্ছে পাইপ লাইন। যদিও ওই পাইপ লাইন তৈরির কাজ চলছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু গলসীর কাছে সেই কাজ অনেকদিন ধরেই আটকে রয়েছে। কারণ, জমি সংক্রান্ত সমস্যা।
তবে এবার চিন্তার দিন শেষ। কারণ পাইপলাইন তৈরির যাবতীয় সমস্যা মেটানো সম্ভব হয়েছে। এখন থেকে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা অব্দি সিএনজি গ্যাস (Compressed Natural Gass) সরবরাহ করা হবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে। অপেক্ষা আর মাত্র দু মাসের। সিএনজি কর্তৃপক্ষ এবং পরিবহন দপ্তর উভয়েই এই বিষয়ে নিশ্চিত আশ্বাস দিয়েছেন। পাইপ লাইনের মাধ্যমে সিএনজি গ্যাস পরিষেবা চালু হলে পাম্প গুলিতে গ্যাস নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না বলেই জানিয়েছে পরিবহন দপ্তর। সেদিন বৈঠকে আলোচনা করা হয় সিএনজি চালিত অ্যাপ-ক্যাবগুলির ভাড়ার বিষয়েও। সরকারের পক্ষ থেকে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছিল। যাত্রী সাথী নামক সেই অ্যাপের প্রচলন বাড়ানোরই দাবি করছেন অ্যাপ-ক্যাবের সংগঠকরা।
আরও পড়ুন ? ভারতের সবচেয়ে কম বয়সী IAS স্মিতা উচ্চমাধ্যমিকে কত পেয়েছিলেন? ভাইরাল মার্কশিট
সিএনজি (Compressed Natural Gass) পরিষেবা ছাড়াও সেদিন বৈধভাবে উঠে এসেছে অ্যাপ-ক্যাব সংক্রান্ত একটি বিশেষ সমস্যার কথাও। অ্যাপ-ক্যাবগুলিতে একটি অবস্থান নির্ণয়ের যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনের দাবি এই যন্ত্রটির জন্য প্রতি বছর তিন হাজার টাকা করে খরচ করতে হচ্ছে সংস্থাকে। কিন্তু যন্ত্রটি আপাতত কোন কাজেই লাগছে না। এছাড়াও আরো একটি অভিযোগ উঠে এসেছে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। চালকদের আইডি যখন তখন ব্লক করে দিচ্ছেন সংস্থার পক্ষ থেকে। যার ফলে ভাড়া পাচ্ছে না সেই সব চালকরা। সংস্থার এই সমস্ত কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করছে এআইটিইউসি এবং সিটুর কর্মকর্তারা।
বাইক ট্যাক্সি সংস্থার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে কলকাতায় সিএনজি গ্যাসের (Compressed Natural Gass) জোগান বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রী সাথী অ্যাপটির বিষয়েও দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেবার জন্য। সমস্ত অ্যাপ-ক্যাব এবং বাইকগুলিকে যাত্রী সাথী অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও শিলিগুড়ি ও আসানসোল এলাকায় বাইক ভাড়ায় চালানোর অনুমতি দেওয়ার কথাও উঠেছে। বৈঠকে পরিবহন দপ্তরের এই উদ্যোগ পর্যটকদের জন্য বেশ কার্যকরী হতে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য বাইক ভাড়ায় দেওয়া হবে যাত্রীদের। বাইক ব্যবহার করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আবার তা ফিরিয়ে দিতে হবে সংস্থাকে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া চলবে আর্থিক বিনিময়ের মাধ্যমে।